১৩ মার্চ ২০২৫: আছিয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তার পরিবার শহীদ মিনারে জানাজার মাধ্যমে তাকে শেষ বিদায় জানাতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকার সেই অনুমতি দেয়নি। পরিবর্তে, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে আছিয়ার মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষ তাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একজন নার্স, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দাবি করেছেন, আছিয়া অনেক আগেই মারা গিয়েছিলেন। তবে সরকার সেই তথ্য গোপন রেখেছে। এই দাবি সত্য হলে প্রশ্ন উঠছে—কেন সরকার জনগণের কাছ থেকে এই তথ্য আড়াল করল? জনগণের সত্য জানার অধিকার কি আর অবশিষ্ট নেই?
আছিয়ার মৃত্যুর খবর সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে প্রকাশের আগেই সরকার ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে একটি আদেশ জারি করেছে। এই সিদ্ধান্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছেন। সভা-সমাবেশ করার অধিকার কি শুধু ৫ই আগস্ট পর্যন্ত ছিল? এখন কি আমাদের আর কোনো অধিকার নেই? সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছেন, সরকারের এমন পদক্ষেপের পেছনে কী ভয় লুকিয়ে আছে?
গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় তৎকালীন সরকারও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার মতো কোনো আদেশ দেয়নি। তাহলে এখন হঠাৎ করে কেন এমন কঠোরতা? গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কি বদলে গেছে? অনেকেই এই পরিস্থিতিকে ‘স্বাধীনতা ২.০’ হিসেবে ঘোষিত নতুন শাসনের প্রতিচ্ছবি বলে সমালোচনা করছেন।
আছিয়ার মৃত্যু এবং এর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে জনমনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বাড়ছে। সরকারের গোপনীয়তা এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার ওপর প্রশ্নচিহ্ন তুলেছে। জনগণ এখন অপেক্ষায়—সত্য কবে প্রকাশ পাবে, আর কবে তারা তাদের হারানো অধিকার ফিরে পাবে?