বাংলাদেশের পুঁজিবাজার আজ চরম সংকটে। টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো নতুন কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পায়নি। ফলে শিল্প খাতে দীর্ঘ সময় ধরে বাজার থেকে অর্থায়ন বন্ধ রয়েছে। এই স্থবিরতার কারণে ব্যবসা সম্প্রসারণ ব্যাহত হচ্ছে, আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা একের পর এক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির চিত্র
ডিএসইর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। এদের মধ্যে অনেকেই সঞ্চয়পত্র ভেঙে বা ব্যাংক ঋণ নিয়ে শেয়ারবাজারে এসেছিলেন। আজ তারা নিঃস্ব হওয়ার পথে।
একজন খুচরা বিনিয়োগকারীর অভিযোগ
“অবৈধ সরকারের আমলে শেয়ারবাজারে আস্থা রাখা যায় না। এখানে টাকা ঢুকালে শুধু ক্ষতিই নিশ্চিত।”
আইপিওতে স্থবিরতা ও অপব্যবহার
গত কয়েক বছরে যেসব কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ তুলেছে, তাদের অনেকেই সংগৃহীত অর্থ ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যবহার না করে ভিন্ন খাতে সরিয়ে নিয়েছে। কিছু কোম্পানি মুনাফা না বাড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা ও অবহেলা এই পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীর টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই কাগুজে কৌশল দেখে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এটি স্পষ্টতই সরকারের ব্যর্থতা ও অবৈধ প্রভাবের ফল।
অবৈধ সরকারের দায়
অন্তর্বর্তীকালীন অবৈধ সরকারের অদক্ষতা, নীতিহীনতা ও উদাসীনতাই পুঁজিবাজারকে স্থবির করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন আর বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। কারণ সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলা লুকিয়ে আছে।
একজন শীর্ষ বাজার বিশ্লেষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন
“যতদিন এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন কোনো ব্যবসায়ী নতুন বিনিয়োগে ঝুঁকি নেবে না। বাজারের প্রতি অনিহা আরও বাড়বে।”
অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক সংকেত
পুঁজিবাজার স্থবির থাকায় শিল্পখাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না, উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের হাজার কোটি টাকার ক্ষতি জাতীয় অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তুলছে।
অবৈধ সরকারের ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার কারণে দেশের অর্থনীতি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতা কেবল বিনিয়োগকারীদের নয়, গোটা জাতির ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।(আওয়ামীলীগ পেইজ থেকে)