রায়ের পর বৃটিশ সংবাদমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়া টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে যেসব এভিডেন্স জমা দিয়েছেন সেগুলো জাল।
যদিও টিউলিপ সিদ্দিক বলছেন, শৈশব থেকেই তার কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই এবং বাংলাদেশে কখনো কর দেননি তিনি।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বিবিসিকে বলেছেন, পুরো ঘটনায় আমি হতচকিত হয়ে গেছি। আমার বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ ছড়ানো হলেও গত দেড় বছরে বাংলাদেশি কোনো কর্তৃপক্ষ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।”
তিনি বলেন, ”আমার কাছে কোনো সমন পাঠানো হয়নি, কোনো অভিযোগপত্র পাঠানো হয়নি, তাদের পক্ষ থেকে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি, আমাকে পাওয়া তো কঠিন না, আমি একজন সংসদ সদস্য”।’
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ”আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমি একধরনের দুঃস্বপ্নের মধ্যে আছি। আমাকে সাজা দেওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে, আমি সংবাদপত্রে এটা পড়েছি। এটি মিডিয়া ট্রায়াল, যা অত্যন্ত অন্যায়”।
রায়ের পর দ্যা গার্ডিয়ানকে তিনি বলেছেন, “এর (বিচারের) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক ছাড়া আর কিছুই নয়।”
“আগে থেকেই যেমনটা ধারণা করা হচ্ছিল, তেমনি অন্যায্যভাবেই এই ক্যাঙ্গারু আদালতের রায় এসেছে। আমি আশা করি, এই তথাকথিত ‘রায়’টিকে তার যথাযথভাবেই দেখা হবে।”
”আমার ফোকাস বা মনোযোগ সবসময়ই হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের আমার ভোটারদের উপর ছিল এবং আমি বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতির দ্বারা বিভ্রান্ত হবো না।”
মিজ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দেওয়া দুর্নীতির রায়কে স্বীকৃতি দিচ্ছে না তার দল লেবার পার্টিও।
