অতিরিক্ত খাবার চাওয়া নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটে আসা এক বিমান যাত্রীর সাথে। ইএ-২০৮ ফ্লাইটে আসা ওই যাত্রীর নাম ফয়েজ আহমেদ। তার বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জে। বিমানে খাবার চেয়ে সময়মতো না পেয়ে ওই যাত্রী হট্টগোল করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে, বিমান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ওই যাত্রী, ক্রু ও পাইলটের সাথে অসদাচরণ করেছেন। পরে বিষয়টি গড়ায় থানা পুলিশ পর্যন্ত। পুলিশ দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে জিডি’র মাধ্যমে ওই ব্রিটিশ নাগরিককে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। গতকাল সোমবার বিকেলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
ওসমানী বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ইএ-২০৮ ফ্লাইটটি সিলেট এয়ারপোর্টে ট্রানজিট দিয়ে ঢাকায় হযরত শাহজালাল (র.) বিমানবন্দরে যাবার কথা ছিল। ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন ফয়েজ আহমদ। তার ঢাকায় যাবার কথা ছিল। অভিযোগ রয়েছে, উড়ন্ত অবস্থায় কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে অসদাচরণ করেন ওই ব্যক্তি। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি কেবিন ক্রুদের অবহিত করলে ফয়েজ তাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। এমনকি বিমানের কেবিন ক্রু-দের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তিনি। পরে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় সিভিল এভিয়েশন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফয়েজকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ জানান, বিমানে যাত্রী, ক্রু ও পাইলটের সঙ্গে অসদাচরণ করায় ফয়েজ নামের ওই যাত্রীকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে দেওয়া হয়।
বিমানের ওই ফ্লাইটে আসা এক বৃদ্ধা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ওই যাত্রী বিমানে অতিরিক্ত খাবার চাইতে গিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ক্রুরা মিলে ওই যাত্রীকে পাগল সাজিয়ে হেনস্থা করেন। এক পর্যায়ে বিমানের ক্রুরা তার কাছে দু:খ প্রকাশ করে ঘটনাটি বিমানে বসে নিষ্পত্তি হলেও সিলেটে এসে ঘটে বিপত্তি। কোন কিছু বুঝার আগেই পুলিশ এসে ওই যাত্রীকে ধরে নিয়ে যায়।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান, ফয়েজ আহমদের অভিযোগ তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। বেশ কয়েকবার ক্রু-দের কাছে খাবার চেয়ে না পেয়ে তিনি অসুস্থবোধ করেন এবং একটু উচ্চস্বরে কথা বলেন। এসময় ক্রু-দের সঙ্গে তার খানিক ধস্তাধস্তি হয়। পরে বিমান থেকে নামার পর তাকে আটক করা হয়।
ওসি বলেন- এ ঘটনায় ৪ জন কেবিন ক্রু’র পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছে। আমরা দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ব্রিটিশ নাগরিককে পরিবারের জিম্মায় দিয়েছি।