সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।
Author: JoyBangla Editor
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি মমতাজ বেগমকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। সোমবার (১২ মে) রাত পৌনে ১২ টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধানমন্ডি স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসায় মমতাজ বেগম আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকে রাত পৌনে ১২ টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে খুনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন মমতাজ বেগম। তবে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত না হলেও তিনি…
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসি সচিব বলেন, সে অনুযায়ী আমরা গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছি। আপনারা গেজেটের কপিটা বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন। কোন গ্রাউন্ডে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটা…
আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। সোমবার (১২ মে) সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এতে…
আবার অনেকের ধারণা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বেশী সোচ্চার দেখা যাচ্ছে #জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীকে। দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে, তাতে #উগ্রপন্থী হিসেবে সমালোচিত অনেককেও যোগ দিতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পরপরই এই গোষ্ঠীগুলো সামনে উঠে এসেছে। এখন আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে নিষিদ্ধ থাকলে ধর্ম নিরপেক্ষতা, সংস্কৃতি ও নারীর অগ্রযাত্রার মতো বিষয়গুলো সংকটে পড়বে বলে অনেকে মনে করেন। আর এটি হলে উগ্রপন্থার আরও বিস্তৃতিলাভেরই আশংকা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন। “যে কোন পরিস্থিতিতেই কোন দল নিষেধাজ্ঞায় পড়লে সে আরও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগকে বিনাশ করতে…
স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মই হয়েছিল একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। ইতিহাসের এমন কোনো অধ্যায় নেই যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের আন্দোলন, বা সমাজ-সংস্কারের সংগ্রামে আওয়ামী লীগের নাম জড়িত নেই। সেই দলকে আজ নিষিদ্ধ করার কল্পনা করা বা আওয়াজ তোলা এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র, যা দেশের স্বাধীনতা, ইতিহাস ও জনগণের রায়কে অবজ্ঞা করার নামান্তর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়েছিল, তার মূল ভিত্তি ছিল আওয়ামী লীগ। একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ছয় দফা, ’৬৯-এর গণআন্দোলন এবং অবশেষে ’৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় এই সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংঘটিত। কাজেই, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মানে হচ্ছে স্বাধীনতার নেতৃত্বকে অস্বীকার…
বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামিক জিহাদি #জঙ্গি কিংবা সামরিক বাহিনী থেকে অনেক অদক্ষ নেতা এসেছেন। কেউ কেউ ব্যর্থ হয়েছেন, কেউ কেউ দিশাহীন ছিলেন। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের সবার থেকে ভিন্ন—কারণ তিনি ব্যর্থতারও ব্যর্থ রূপ। এক কথায় : সুপার ফ্লপ। নোবেল পাওয়ার ঢাল পিঠে বেঁধে যিনি দেশের নেতৃত্ব নিতে এসেছিলেন, তিনি ৯ মাসে প্রমাণ করেছেন—দেশ চালানো সেলফি তোলা না, আর অর্থনীতি চালানো গ্রামীণ মডেলের ভাষণ না। কেবল বিদেশ সফর আর ফাঁকা কথার ফুলঝুরি দিয়ে দেশ চলে না। এখন প্রশ্ন উঠছে—ড. ইউনূস নিজেই জানতেন না, নাকি জেনেও ছলনা করছিলেন? দেশে #আগুন, আর ইউনূস বিদেশ ভ্রমণে মত্ত এই ৯ মাসে দেশের…
ইউনুস সরকারকে উৎখাত করে জনগণই জবাব দেবে লন্ডন, আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ ও অবৈধ ইউনুস সরকারের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ মে বিকাল ৬টায় পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়্। সমাবেশে সহস্রাধিক আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত হন। সভায় অবৈধ ইউনুস সরকারের পদ্ত্যাগ দাবী করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশের বক্তব্য রাখেন সাবেক মতস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমান, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক প্রবাস কল্যাণ ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি মো. হরমুজ আলী, সেক্রেটারি…
অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকারের ঘোষণায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ এ সিদ্ধান্তকে ‘গণবিচ্ছিন্ন ফ্যাসিস্ট সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যায়িত করে বলেছে, এটি দেশের ইতিহাসে একটি কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়, যে দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, সেই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে নির্বাসনে পাঠানো এবং স্বাধীনতাবিরোধী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উত্থানকে উৎসাহ দেওয়া। দলটি দাবি করে, এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে ইউনূস সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ইতিহাসকে অস্বীকার করে একটি অপশক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্র…
‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে’ রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। তিনি এক সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা সভাপতি পদ পান। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের বিশেষ সাক্ষাৎকারে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ হবে বলে আমি মনে…
কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘এখন একটা বৈরী হাওয়া বইছে। যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে, সেই হুজুর মাওলানা ভাসানীর দল, বঙ্গবন্ধুর দল, আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না। সেটা সিদ্ধ হবে না নিষিদ্ধ হবে- রায় দেওয়ার মালিক হচ্ছে জনগণ।’ রবিবার (১১ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতীহাটি গ্রামে এলাকার মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। জনগণ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, অনুমোদন দিলেও সে দল দাঁড়াতে পারে না। কিন্তু কোনও পরিষদ সিদ্ধান্ত নিলেই সেটা কার্যকর হবে বা সেটাই শুদ্ধ,…