আওয়ামীলীগের বিবৃতি
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ই-মেইল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, দেশে একটি নির্বাচিত সরকার যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনকল্যাণের নীতি ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছিল, তখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে জোরপূর্বক হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। ফলে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় সামনের দিকে অগ্রসরমান বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়ছে।
সব সেক্টরে ইতিবাচক ধারার চ্যুতি ঘটিয়ে একের পর এক নেতিবাচক সূচকের জানান দিচ্ছে। অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকা এবং তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে দেশের জনগণের যাপিত জীবন যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণকে স্বস্তি দিতে ব্যর্থ সরকার তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য, গুজব ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।
ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ জনমানসে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা নিজের ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত কল্পিত অভিযোগ নিয়ে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। পারলে সরকারকে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণসহ তা প্রমাণের আহ্বান জানিয়েছেন। একইভাবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধেও এফবিআইয়ের ভুয়া সোর্স ও মৃত ব্যক্তির রেফারেন্স ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কল্পকাহিনী ছড়ানো হচ্ছে। তিনিও এই অভিযোগ প্রমাণে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিজের জীবন বাজি রেখে বাংলার মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো আপসহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ড. ইউনূসের সরকার সুস্পষ্টভাবে জানে, বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আগামীর লড়াইটাও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হবে। সেজন্য সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কল্পিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া অভিযোগ উত্থাপন করছে। কিন্তু শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা যে এসব অভিযোগে অভিযুক্ত নয়, তা ইতোমধ্যে বাংলার জনগণের কাছে স্পষ্ট।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পূর্বাপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একই ধরনের কুৎসা রটিয়েছিল গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু খুনি-ঘাতক চক্র-ষড়যন্ত্রকারীরা। পরবর্তীতে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে অসত্য প্রমাণিত হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৪ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে দেশের জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন অভিযোগের কল্পকাহিনী রটাচ্ছে।
আমরা বিশ্বাস করি, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক এই গোষ্ঠীর কোনো অশুভ তৎপরতাই সফল হবে না। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলার জনগণ হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে অমানিশার ঘোর অন্ধকার ভেদ করে নতুন সূর্যালোকের ন্যায় উদ্ভাসিত হবে, ইনশাল্লাহ।