জয় বাংলা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরাল ভাঙচুর করেছে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের পর থেকেই মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে এই ভাঙচুর চালানো হয়।
এদিন দুপুরে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা বিশাল ম্যূরাল ভাঙচুর করা হয়। এরপর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে থাকা আরেকটি বিশাল ম্যূরাল ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে থাকা প্রতিকৃতি ভাঙচুর করা হয়। সবশেষ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে থাকা বঙ্গবন্ধু কর্ণারও ভাঙচুর করা হয়।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলম খান, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর বারী ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভাঙচুরের বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, “এই শহরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হবে। সেখানে অভ্যুত্থানে নিহত নারায়ণগঞ্জের শহীদদের নামের তালিকা স্থাপন করা হবে।”
একইভাবে যশোর, সিলেটসহ দেশের সর্বত্র বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়। উত্তেজিত যুবকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র কুন্তি শাবল নিয়ে এসব স্থাপনায় হামলা চালায়। কোনো কোনো স্থাপনায় আগুনও ধরিয়ে হয়।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচটি ম্যুরাল ও একটি মাজার ভাংচুর করেছেন জনতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এরপর পর্যায়ক্রমে সুনামগঞ্জ শহরের ঐতিহ্য জাদুঘর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা পরিষদের সামনের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও রাতেই তারা সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগরে হোসেন বখত চত্বরের পাশেই ডংকা শাহ্ মোকাম নামের একটি মাজারও ভেঙে দেন।