জয় বাংলা প্রতিবেদন
দি নিউএজএর সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ইতিহাস মুছে ফেলে নতুন ইতিহাস লেখা যায় না। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ধানমন্ডির বাসভবনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এদিন শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের উদ্দেশে বক্তৃতা করছিলেন। পর্যালোচনায় বলা হয়-পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তরুণ আন্দোলনকারীরা, তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, শেখ মুজিবের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে হামলা করে। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার দৃশ্যত নীরব ছিল, যা ব্যাপকভাবে জনগণের কাছে ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
মুজিবের বাসা ভেঙে দেয়া হয়তো আওয়ামী লীগ কর্মীদের কিছু সময়ের জন্য দমিয়ে রাখতে পারবে। কিন্তু বিদেশে বসবাসকারী দলের কর্মীরা এই ঘটনাটিকে সহানুভূতি অর্জনের জন্য কাজে লাগাবে। তবে যে যুবকরা রাজনৈতিকভাবে বাসাটিকে ভাঙার নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের বুঝতে হবে যে, ঐতিহাসিক এই বাড়িটি একটি ‘জাতীয় সম্পত্তি’। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমান এটাও সত্য যে, পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপান্তরিত করার জন্য তার মৌলিক অবদান ছিল। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময় বেশিরভাগ মানুষ তার আহ্বানে যুদ্ধের ময়দানে নেমেছিল। শেষে বলতে হয়, ‘ইতিহাস’ মুছে ফেলার প্রচেষ্টা ইতিহাসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে না। বরং এটি জনগণকে তার ঐতিহাসিকভাবে বৈধ লক্ষ্য অর্জনে বিভ্রান্ত করতে পারে।