‘কোটি বাঙালির মনের মণিকোঠায় বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন’
লন্ডন: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাসভবন গুঁড়িয়ে দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘৭১ এর পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মারা পরাজয়ের বদলা নেয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে ফেলার হীন উদ্দেশ্যে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের আস্ফালনে আমরা ক্ষুব্ধ এবং শংকিত।
বঙ্গবন্ধুর এই বাড়িটি একটি নিছক বাড়ি নয়, একটি ইতিহাস। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সূতিকাগার। এই বাসবভন থেকেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন, এই বাসবভন থেকেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর গণবভন বঙ্গভবনে না গিয়ে এই ৩২ নম্বরের বাড়িতে থেকে দেশ পরিচালনা করেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে এই বাড়িতেই তিনি সপরিবারে জীবন দিয়েছেন। জাতির জনকের ৩২ নম্বর বাড়িতেই গড়ে উঠেছিল একটি ট্রাস্টের মালিকানায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ।
বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধারা আরো বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলার মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যায়নি। এখনও যদি কেউ মনে করে থাকে যে ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাসভবন মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে বাংলার মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দেবে, তাহলে আমরা নির্দিদ্ধায় বলতে চাই যে, তারা স্রেফ আহমকের স্বর্গে বাস করছে। তাদের এই হীন অভিলাষ কোনদিন পূরণ হবে না। কোটি বাঙালির মনের মণিকোঠায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বেঁচে থাকবেন।
বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা আর ও বলেন, জাতির জনক পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে জেল জুলুম সহ্য করে বাঙালির মুক্তির জন্য সারা জীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। এই মহান নেতা বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ – তিতিক্ষা ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বিশ্বের মুক্তিকামী নিপীড়িত মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে অম্লান থাকবে।বিবিৃতিটি পাঠিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান।