জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে বাংলাকে অন্তর্ভুক্তি এবং সকল কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার ডাক ও ইমেইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, সংস্কৃতি সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের উদ্দেশ্যে এ নোটিশ পাঠান।
এতে আগামী এক মাসের মধ্যে ১৯৮৭ সালের ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’ এর ৩ (১) ধারা অনুসারে দেশের সব সরকারি অফিস-আদালত, আধা- সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল-জওয়াব, রায়, আদেশ ও অন্যান্য কার্যাবলির নথিপত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামুলক করার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে সাইনবোর্ড, নামফলক, বিজ্ঞাপনী বোর্ড ও টেলিভিশনে প্রচারিত বিজ্ঞাপন বাংলায় করাসহ বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা এবং নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ব্যত্যয় হলে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে জানান নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী।
অ্যাডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি, ইংরেজির দাপট ও প্রচলনের জন্য বাংলাদেশে প্রায় সব ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রভাষা বাংলা এখন উপেক্ষিত। সরকারি- বেসরকারি দপ্তর, আদালত, প্রচার- সম্প্রচার মাধ্যম থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলার ব্যবহার এখনো অবহেলিত।
তিনি আরও বলেন, উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- বাংলা ভাষা হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও এর প্রচার ও প্রসার এখনো পিছিয়ে আছে। তরুণ প্রজন্ম এখন ইংরেজি- বাংলার মিশ্রণে অদ্ভুত এক ভাষা ব্যবহার করছে। এমনকি উচ্চশিক্ষায় রাষ্ট্রভাষা বাংলা একেবারেই উপেক্ষিত।
সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।