বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার রাজা চৌধুরী গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সিলেটে একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। বয়স হয়েছিল প্রায় ৯০ বছর। তিনি বার্ধকজনিত রোগে ভুগছিলেন। আনোয়ার রাজা চৌধুরীর বাড়ি দিরাই উপজেলার বিখ্যাত গচিয়া গ্রামে। তিনি প্রয়াত সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরীর ভাই। এছাড়া প্রয়াত আনোয়ার রাজা চৌধুরীর পুত্র বিলাতবাসী লেখক চৌধুরী শামসুদ্দিন। নিজ গ্রামে বসবাস ছাড়াও বেশ কিছুদিন যাবত চিকিতসা সুবিধার জন্য সিলেট শহরের পূর্ব শাহী ঈদগাহতে তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রের বাসায় বসবাস করছিলেন।
আনোয়ার রাজা চৌধুরী ও সালেহ চৌধুরী দুই ভ্রাতা ৫ নং সেক্টরের অধীনে দিরাই-শাল্লার অভ্যন্তরে পাক হানাদার বাহিনির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। দিরাই-শাল্লা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসাবে তাদের প্রতিপত্তিও রয়েছে। গচিয়ার অন্যতম জমিদার পরিবারের সন্তান আনোয়ার রাজা চৌধুরী ছিলেন একজন জনহিতৈষী ও পশুপ্রেমিক ব্যক্তি। তাঁর প্রয়াণে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ঐদিন সন্ধ্যায় শাহী ঈদগাহর শাহ মিরাজী মাজার মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরের দিন বাদ জোহার নিজ গ্রাম গচিয়ায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লী ও আত্বীয়স্বজন অংশগ্রহন করেন। জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, তার পুত্র চৌধুরী শামসুদ্দিন ডিসেম্বর মাসে দেশে পিতার চিকিতসাসহ তাকে দেখার জন্য গিয়েছিলেন। এর দুমাসের মাথায় তিনি পরলোকগমণ করেন। পিতার অন্তিম শয়ানকালে ২৭ ফেব্রুয়ারি আবার চৌধুরী শামসুদ্দিন দেশে যান।পিতার অন্তিম যাত্রার সকল আনুষ্ঠানিকতায় তিনি উপস্থিত ছিলেন।