আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটি সারা বিশ্বে নারীদের সমাজে এবং পরিবারের মধ্যে অসামান্য কৃতিত্বকে স্মরণ এবং সম্মান জানাতে পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে, এবং তখন থেকেই এই দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন ও অন্যান্য সংগঠনরা দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে নারীদের সমান অধিকার, সমতা এবং ক্ষমতায়নের দিকে আরও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: “অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন।”
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস বেশ পুরনো। প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছিল ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ, যখন ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে হাজার হাজার নারী এবং পুরুষ একত্রিত হয়ে নারীদের অধিকার, ভোটাধিকার এবং কাজের অধিকার দাবি করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ ঘোষণা করে এবং ওই বছরের মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এর দুই বছর পর, ১৯৭৭ সালে, জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
জাতিসংঘের ১৯৯৬ সালের প্রতিপাদ্য ছিল “অতীত উদ্যাপন, ভবিষ্যৎ ঘিরে পরিকল্পনা” এবং ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ১০০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য “অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন” নারীর সমতা ও উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তনের পক্ষে বিশ্বের সকলকে আহ্বান জানাচ্ছে।
এদিনের গুরুত্ব শুধু নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অর্জন উদযাপন করা নয়, বরং এটি পৃথিবীজুড়ে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামের প্রতীকও। নারী অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করা, নারীদের ক্ষমতায়িত করা এবং উন্নয়ন কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণের গুরুত্ব পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয় এই দিবস।
এ বছর, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নারীর উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তনের ডাক দেয়ার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের নানা কর্মসূচি উদযাপিত হচ্ছে। নারীর অধিকার এবং সমতা নিশ্চিত করার জন্য এদিনের উদযাপন নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাঁদের অবদানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।