শুভ জন্মদিন জাতির পিতা
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। বাঙালি জাতিকে একটি মুক্ত-স্বাধীন মাতৃভূমি উপহার দেয়ার কারিগর, মহাবিজয়ের মহানায়ক তোমাকে জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা।
জীবনের মূল্যবান সময় কারাপ্রকোষ্ঠের অন্ধকারে কাটিয়ে, পরিবার ও সন্তানের মায়া ত্যাগ করে তুমি চেয়েছো দেশের প্রতিটি মানুষ এক স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ পাক, প্রতিটি পরিবার নিজের স্বপ্ন-সম্ভাবনা নিয়ে বাঁচুক, প্রতিটি সন্তান শিক্ষা-মেধা-কর্মসংস্থানে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। তোমার এই ত্যাগ, এই সংগ্রাম সফল হয়েছে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার মাধ্যমে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে।
হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী, স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার গোষ্ঠী এক তোমার শক্তি-সাহস-সংকল্প-সংগ্রাম-নেতৃত্বের কাছে পরাজিত হয়েছে। সেই পরাজিত হানাদার ও ঘৃণিত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ইউনূস নাম ধারণ করে আবার ফিরে এসেছে, তোমার স্বাধীন দেশকে, তোমার প্রিয় জনতাকে নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করেছে। হানাদার-রাজাকার বাহিনীর নেতা ইউনূস তোমার জন্মদিবস, মৃত্যুদিন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ১০ জানুয়ারির স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সকল রাষ্ট্রীয় আয়োজন বন্ধ ঘোষণা করেছে। তারা বাংলাদেশের আঁতুড়ঘর তোমার ধানমণ্ডি-৩২ ঘুড়িয়ে দিয়েছে, জ্বালিয়ে দিয়েছে।
তাতে কি! ওরা জানেনা, এই বাংলায়, এই বাংলার মাটি-পানি-বৃক্ষ-আকাশ-বাতাসে তোমার ‘ভাইয়েরা আমার’ উচ্চারণের শক্তি কতোটা প্রখর, তোমার ঊর্ধ্বগামী তর্জনির সীমা কতোটা আকাশচুম্বী, তোমার বুক জুড়েই এদেশের ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল। পৃথিবীর মানচিত্রে যতদিন এদেশ থাকবে, এদেশে যতোদিন একটি শিশুরও জন্ম হবে ততোদিন তোমার নাম, তোমার কীর্তি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে।
তোমার নামের বজ্র স্লোগানেই এদেশের জনতা আবারও পরাজিত করবে একাত্তরের পতিত ইউনূস বাহিনীকে। শুধু এবারই নয়, আগামীতেও যতোবার এদেশে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ইউনূস বা যে কোন নাম নিয়েই হাজির হোক না কেন, প্রতিবার তারা পরাজিত হবে তোমার দেখানো সংগ্রামকে অনুসরণ করেই।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ ১০৫তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বাংলার ছাত্রসমাজ, জনতা, মেহনতি মানুষের পক্ষ থেকে তোমার জীবন ও কর্মের প্রতি রইলো শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচি:
১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
২. জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশুদের নিয়ে জন্মদিন পালন
৩. মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডায় প্রার্থনা
৪. খাদ্য উপকরণ ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
৫. শিশুদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম নিয়ে রচিত বই উপহার
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।