Close Menu

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    জনপ্রিয় সংবাদ

    ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম দিবসে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ ও সাংবাদিক হয়রানি বন্ধের দাবি

    May 10, 2025

    ‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামি লীগের ঠাঁই নাই’!

    May 10, 2025

    সিরাজগঞ্জে বৈছা নেতাকে পিটুনি দিল ছাত্রলীগ

    May 10, 2025
    Facebook Instagram WhatsApp TikTok
    Facebook Instagram YouTube TikTok
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Subscribe
    • হোম পেইজ
    • বিষয়
      • দেশ (Bangladesh)
      • আন্তজাতিক (International)
      • জাতীয় (National)
      • রাজনীতি (Politics)
      • অথনীতি (Economy)
      • খেলা (Sports)
      • বিনোদন (Entertainment)
      • লাইফ স্টাইল (Lifestyle)
      • শিক্ষাঙ্গন (Education)
      • টেক (Technology)
      • ধম (Religion)
      • পরবাস (Diaspora)
      • সাক্ষাৎকার (Interview)
      • শিল্প- সাহিত্য (Art & Culture)
      • সম্পাদকীয় (Editorial)
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ করুন
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Home » ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন: বাংলাদেশে প্রশ্রয় পাচ্ছে উগ্রবাদী শক্তি
    International

    ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন: বাংলাদেশে প্রশ্রয় পাচ্ছে উগ্রবাদী শক্তি

    JoyBangla EditorBy JoyBangla EditorMarch 18, 2025Updated:March 18, 2025No Comments7 Mins Read
    Facebook WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook WhatsApp Copy Link

    সম্প্রতি নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর ঘোষণা দিয়ে মিছিল করেছে রাজধানী ঢাকায়৷ যদিও সেই মিছিল ঠেকাতে শেষ মুহূর্তে সক্রিয় দেখা গেছে পুলিশকে। অন্যদিকে, নারীর ওপর হামলা চালিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে হামলাকারীদের হোতাকে। বেশিরভাগ ঘটনায় পুলিশ সক্রিয় হয় সমালোচনার ঝড়ের পরে। এসবে কি বার্তা বা ইঙ্গিত মেলে সেই প্রশ্ন এখন সচেতন মহলে।

    গত ৭ই মার্চ “মার্চ ফর খেলাফত” কর্মসূচি পালনের আগে ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীকে জানিয়েছিল বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন হিযবুত তাহরীর। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচির প্রচারে লাগানো হয়েছিল পোস্টার-ব্যানারও। কিন্তু আগে থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা মাঠে নামার পর প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়।

    শুধু এ ঘটনাই নয়, নারীদের ঘরে বন্দি রাখার চেষ্টা, মাজার ভাঙাসহ অভ্যুত্থানের পরপরই বিভিন্ন কলেজে জঙ্গি সংগঠনের পতাকাসদৃশ পতাকা নিয়ে মিছিল করার ঘটনা ঘটেছে। সরকার কিছু ব্যবস্থা নিলেও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন তা মোটেই পর্যাপ্ত নয়।

    এসব ঘটনা উগ্রবাদী শক্তির উত্থানের লক্ষণ কি-না জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. জাহেদ উর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, “উগ্রবাদ যে এখানে মাথাচাড়া দিচ্ছে, সেটা বোঝানোর মতো যথেষ্ট ঘটনা ঘটেছে। হিযবুত তাহরীরের কর্মসূচি যতটুকু হতে দেওয়া হয়েছে, আমি বলবো, হতে দেওয়া হয়েছে, কারণ, একটি নিষিদ্ধ সংগঠন এতটা সংগঠিত হতে পারার কথা ছিল না, যদি রাষ্ট্রযন্ত্র ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক থাকতো।”

    তিনি আরও বলেন, “আমাদের ৮০-৮২টি মাজার ভাঙা হয়েছে। আমাদের অভিনেত্রীরা শোরুমের উদ্বোধন করতে যাবেন, তাদের যেতে দেওয়া হয়নি। নারীর পোশাক নিয়ে তো কথা হচ্ছেই। তার চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষয় হচ্ছে, কিছু ধর্মগুরু আছেন, যারা ওয়াজের সময় উনি কী পোশাক পরলেন বা উনি কীভাবে বের হলেন, এগুলোকে ধর্ষণের সঙ্গে রিলেট করছেন। ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কেউ আলাপ করতে পারেন। কিন্তু এর সঙ্গে ধর্ষণকে রিলেট করে এর বৈধতা দিচ্ছেন।”

    বাংলাদেশে হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করা হয় ২০০৯ সালে। সংগঠনটি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। তারা মনে করে, ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। সংগঠনের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদকে ২০০৯ সালেই বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এরপর ২০১০ সালের ২০শে এপ্রিল ফার্মগেটে তার বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর ৩রা মে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বাংলাদেশের মতো বিশ্বের আরও অনেক দেশে হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ।

    গত বছরের ৫ই আগস্ট রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনৈর পর এই সংগঠনটির তৎপরতা বাড়তে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটে পুলিশ সদর সপ্তর থেকে সংগঠনটি যে এখনো নিষিদ্ধ, সেটি আবারও নিশ্চিত করা হয়।

    হিযবুত তাহরীরের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, “উগ্রবাদ এখনো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি। তবে ওঠার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা এটাই প্রমান করে যে, এই ধরনের প্রবণতা আছে। এই প্রবণতাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে হবে। যদি না করা যায়, তাহলে উগ্র মতবাদ আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে।”

    সরকার উগ্রবাদকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই সরকার দেরি করে দৃষ্টি দিচ্ছে। হিযবুত তাহরীরের যে মার্চ ফর খেলাফত কর্মসূচি গত শুক্রবার করেছিল, সেটা কিন্তু তারা হঠাৎ করে করেনি। দুই সপ্তাহ আগে থেকে তারা ঘোষণা দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছিল। তখন তো সরকারের যে সংস্থাগুলো আছে, তাদের তৎপর হওয়া উচিত ছিল। সে ধরনের কোনো কিছু তখন কিন্তু তারা করেনি। যখন তারা মার্চ শুরু করেছে, তখন বাধা দিয়েছে। সবকিছুই আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। তা না হলে এদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা তৎপরতা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেশি সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে।”

    গত বছরের ৫ই আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরপরই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কলেমা খচিত কালো পতাকা নিয়ে মিছিলের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকার নটরডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থীদের রাজধানীতে আলাদা আলাদা মিছিল বের করতে দেখা যায়। এসব মিছিল থেকে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ, নবিকে কটূক্তির প্রতিবাদ, কিংবা ইসলামি খেলাফত কায়েমেরও দাবি তুলতে দেখা যায়।

    এসব ছবি ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা শেয়ার করছেন, তাদের কেউ কেউ দাবি করছেন, এই পতাকা ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর। বাংলাদেশে ইসলামি খেলাফত কায়েম করতেই তারা এই পতাকা নিয়ে মিছিল বলে দাবি করা হয়। তবে আরেকটি পক্ষ এটিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তারা মনে করছেন, কোনো রাজনৈতিক ইন্ধনে এসব করা হয়ে থাকতে পারে। যারা কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করছে, তাদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন করছেন অনেকে।

    কলেমাখচিত কালো পতাকা নিয়ে মিছিলের বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী ও গুম কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘুরে দাঁড়িয়েছে- সেকথা বলার সুযোগ এখনো হয়নি। উগ্রবাদী রাজনীতি যারা ধারণ করে, তারা এই সময়কে তাদের মতো করে কাজে লাগাতে চায়। কাজে লাগাতে চায় বলেই দেখতে পাবেন, বিভিন্ন জনসমাবেশের ভেতরে তাদের পতাকা প্রদর্শন করছে। এই পতাকার সঙ্গে ওই সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। কয়েকজন মানুষ এটা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে হিযবুত তাহরীরের সমাবেশ থেকে বোঝা যাচ্ছে, তারা প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

    রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-র প্রধান মুফতি জসিম উদ্দীন রাহমানী কারাগার থেকে মুক্তি পান। তিনি ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলার ৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। সেই সাজা ভোগ করা হয়ে গেছে। তবে তার বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে৷ সেগুলোতে তিনি জামিন পেয়েছেন। বাংলাদেশে কারাগার থেকে জঙ্গিদের জনস্রোতে মিশে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

    ২০২৪ সালের ৭ই আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বিক্ষোভের সময় কারারক্ষীদের জিম্মি করে ২০৯ জন বন্দি পালিয়ে যান। বন্দি পালানো ঠেকাতে গুলি ছোঁড়েন কারারক্ষীরা। এতে ছয়জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে তিন জঙ্গিও ছিল। তিনজনই গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মি করে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।

    পালিয়ে যাওয়া ২০৯ জনের মধ্যেও বেশ কয়েকজন জঙ্গি সদস্য রয়েছে বলে কারাসূত্র জানিয়েছে। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে পালানো জঙ্গিদের মধ্যে ২৭ জনকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।

    তার আগে ২০শে জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ৯ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোদ্ধারা। ৭ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেছেন, জেলখানা থেকে পালানো ৯৮ জঙ্গির ৭০ জনই সাজাপ্রাপ্ত, যাদের বেশিরভাগকে ফের গ্রেপ্তার করা হলেও ২৭ জন এখনো অধরা থেকে গেছে।

    বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আমরা যে একটা গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করলাম, এর শেষ দিকে এসে আমরা দেখলাম, উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি এতে একটা বিশেষ প্রভাব রেখেছে। পরে দেখলাম, নারীর প্রতি বিদ্বেষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিলো না। প্রকারান্তরে মনে হয়েছে, অনেক জায়গায় তারা প্রশ্রয় দিয়েছে। এর ফলে উগ্রবাদী শক্তি ও নারী বিদ্বেষী শক্তি, এমনকি যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অস্বীকার করে, তারা প্রভাবশালী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমি এটাও দেখি, মুক্তিকামী মানুষ এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। এটা আমাদের জন্য আশার খবর।”

    সারাদেশে নারী হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব ঘটনায় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর মদদ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

    তিনি বলেন, “দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে যেন জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। নিষিদ্ধ সংগঠন কীভাবে মিছিল করে, তা সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে, দেশে যেন অশুভ শক্তির উদয় না হয়। ক্যাম্পাসে মেয়েদের পোশাক নিয়ে উগ্রবাদী গোষ্ঠী কাজ করছে। বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশকে অতি রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর মদদে নারী হেনস্তার ঘটনা ঘটছে।”

    সাম্প্রতিক সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং রাস্তার নারীকে হেনস্তার ঘটনাও বেড়েছে। এমনকি হিজাব না পরলে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বিষয়গুলো প্রথমে সরকার গুরুত্ব না দিলেও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    ড. জাহেদ উর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, “ঘটনা তো ঘটতে পারে, যেমন ধরেন, দুইজন নারী প্রকাশ্যে ধূমপান করার কারণে পিটিয়েছে রাস্তায়। যিনি এটা করেছেন, তার ছবি তো ওইদিনই সামনে এসেছে। দীর্ঘ সময় পর মানুষ যখন অনেক চেঁচামেচি করলো, তখন তাকে ধরা হলো। কিন্তু এর আগে আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তার পক্ষে পরোক্ষভাবে সাফাই গেয়েছেন।”

    তিনি আরও বলেন, “অনেক ঘটনা ঘটছে, কিন্তু সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে এতে এক ধরনের পারসেপশন তৈরি হয়। তখন এই ন্যারেটিভ যারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বাংলাদেশ মৌলবাদীদের হাতে গেছে, সেটা তো প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। লক্ষীপুরে একটি হিন্দু হোটেলে পর্দা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় কিছু মানুষ খাচ্ছিলেন। তাদের বের করে এনে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে। বয়স্ক মানুষকে। এর প্রতিটি ঘটনাই উগ্রবাদের প্রমাণ। সরকার যেহেতু ঠিকমতো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, ফলে এই পারসেপশন তৈরি হচ্ছে।”

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা ডয়চে ভেলেকে বলেন, “নারীর প্রতি সহিংস আচরণ, নিপীড়ন, যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ এগুলো বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা না। এগুলো হয় এই কারণে যে, নারীকে সমাজে যেভাবে নির্মাণ করা হয়, তাতে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ যেমন আছে, ধর্মীয় মূল্যবোধও আছে। নতুন করে যেটা সামনে আসছে যে, হিজাব ছাড়া বের হলে নারী ধর্ষিত হতে পারেন- এই কথাগুলো যারা বলছেন, তাদের ধর্মীয় পরিচয় থাকার কারণে এরকম মনে হতে পারে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সমাজটা নারীদের জন্য খুবই অনিরাপদ। পিতৃতন্ত্র নারীদের জীবন জুড়েই এভাবে আটকে রাখে, যা তাকে প্রতিনিয়তই নিপীড়িত করে। ধর্ম বনাম নারীকে নিয়ে যাওয়াটা ভুল হবে। আমাদের আইনের শাসন ঠিক করার প্রয়োজন আছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে। নিরাপত্তা উন্নত হলে সকল নাগরিকের জন্য যেমন স্বস্তির, নারীর জন্যও সেটা হবে স্বস্তির। তারপর আমাদের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার দিকে মনোযোগ দিতে

    picks
    Share. Facebook WhatsApp Copy Link
    Previous Article বিবেকের কাছে প্রশ্ন ১: সাবেক রাষ্ট্রদূত হারুন আল রশিদ
    Next Article বঙ্গবন্ধুর বাসভবন হয়ে উঠে স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা কেন্দ্র
    JoyBangla Editor

    Related Posts

    ‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামি লীগের ঠাঁই নাই’!

    May 10, 2025

    সিরাজগঞ্জে বৈছা নেতাকে পিটুনি দিল ছাত্রলীগ

    May 10, 2025

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি- জনগণ বলছে ‘শেয়ারবাজার ধ্বস-করিডোর’ ইস্যু থেকে চোখ ফেরানোর তরিকা

    May 10, 2025

    ১০ মাসে দেদার সরকারি সুবিধা নিয়ে ক্ষমতা ভোগের শীর্ষে ইউনুস

    May 10, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সম্পাদকের পছন্দ

    ‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামি লীগের ঠাঁই নাই’!

    May 10, 2025

    সিরাজগঞ্জে বৈছা নেতাকে পিটুনি দিল ছাত্রলীগ

    May 10, 2025

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি- জনগণ বলছে ‘শেয়ারবাজার ধ্বস-করিডোর’ ইস্যু থেকে চোখ ফেরানোর তরিকা

    May 10, 2025

    ১০ মাসে দেদার সরকারি সুবিধা নিয়ে ক্ষমতা ভোগের শীর্ষে ইউনুস

    May 10, 2025
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • TikTok
    মিস করবেন না
    United Kingdom - যুক্তরাজ্য

    ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম দিবসে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ ও সাংবাদিক হয়রানি বন্ধের দাবি

    By JoyBangla EditorMay 10, 20250

    লন্ডনঃ ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম দিবসে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ ও সাংবাদিক হয়রানী বন্ধের দাবিতে লন্ডনে এক…

    ‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামি লীগের ঠাঁই নাই’!

    May 10, 2025

    সিরাজগঞ্জে বৈছা নেতাকে পিটুনি দিল ছাত্রলীগ

    May 10, 2025

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি- জনগণ বলছে ‘শেয়ারবাজার ধ্বস-করিডোর’ ইস্যু থেকে চোখ ফেরানোর তরিকা

    May 10, 2025

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    About Us
    About Us

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করে দেশ ও বিদেশের খবর পাঠকের কাছে দুত পৌছে দিতে জয় বাংলা অঙ্গিকার বদ্ধ। তাৎক্ষণিক সংবাদ শিরোনাম ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পেতে জয় বাংলা অনলাইন এর সঙ্গে থাকুন পতিদিন।

    Email Us: info@joybangla.co.uk

    Our Picks

    ‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামি লীগের ঠাঁই নাই’!

    May 10, 2025

    সিরাজগঞ্জে বৈছা নেতাকে পিটুনি দিল ছাত্রলীগ

    May 10, 2025

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি- জনগণ বলছে ‘শেয়ারবাজার ধ্বস-করিডোর’ ইস্যু থেকে চোখ ফেরানোর তরিকা

    May 10, 2025

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.