ইউনুসের ধান্ধাবাজি, ‘আমি বড় মাঠের খেলোয়াড়’
।। হামিদ মোহাম্মদ ।।
তুলসির এক ধমকে ইউনুস নির্বাচন এখন ডিসেম্বরে দেবেন বলে স্থির করেছেন। তিনি পুলিশদের সাথে বৈঠকে বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে নিয়ে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে নিরবাচন কমিশন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড যে মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদশে সংখ্যালঘু নির্যাতন’ ও ‘ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা’র চেষ্টা চলছে।এ মন্তব্যে ‘গভীর উদ্বেগ ও হতাশা’ প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। তবে এতে কাজের কাজ হয়েছে, ইউনুস নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা বাদ দিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন কবে হবে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত১৭ মার্চ সোমবার মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভায় অংশ নেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমস্যা সমাধানে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে ১৯ মার্চ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, তিনি ‘বড় মাঠের খেলোয়াড়’ বলে তিনি তাকে দাবী করেছেন। এটারও মাজেজা তৃণমূল মানুষও বুঝে ফেলেছে। তিনি ইতোমধ্যেই ট্রাম্পকে বাগে আনার জন্য ইলন মাস্ককে ম্যানেজ করে ফেলেছেন, এটাই তার বড় মাঠে খেলা। ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্টজন।ইলন মাক্সের স্টারলিংকের ব্যবসা বাংলাদেশে সম্প্রসারণ করার চুক্তি হয়েছে। অথচ, স্টারলিংকের সংযোগ খরচ কুলিয়ে ওঠার মতো গ্রাহক বাংলাদেশে নেই। এরপরও তিনি ইলন মাস্কের স্টারলিংককে ব্যবসা দেবেন বলে অঙ্গীকার বা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন। এতে ইলন মাস্ক খুশি হয়ে ইউনুসকে বিপদ-আপদ থেকে উদ্ধারে নামতে পারেন, ট্রাম্পকে বুঝাতে পারার দায়িত্ব নিতে পারেন, এই আশাই বড় মাঠের খেলোয়াড় ভাবার কারণ। অন্যদিকে, স্বপ্রণোদিত হয়ে মার্কিন সরকারের নিকট থেকে অপ্রয়োজনীয় হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য মার্কিন অস্ত্র কেনার চুক্তি করেছেন ইউনুস। এটাও বড় মাঠে খেলার আরেকটি নমুনা।
এসব দেখে শুনে মনে হচ্ছে-একদিকে, ধমক, অন্যদিকে নতজানু হওয়ার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ইউনুস ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর পথ খুঁজতে শুরু করেছেন বৈকি।
দেশে সম্প্রতি যে রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, জঙ্গী উত্থান, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে মিটেকড়া ভাবসাব সব মিলিয়ে নতুন এক পথ রচনার পথ ইঙ্গিত দেশবাসী, রাজনীতিবিদরা বুঝতে পারছেন। তাই নির্বাচন নিয়ে আলাপ-আলোচনার তোড়জোড় ও দামামা কড়া নাড়ছে মাঠে-ঘাটে। কিন্তু অনেকের আবদার আওয়ামীলীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না বা নির্বাচিন করতে দেয়া হবে না, এমন কথাবার্তা যাদের মুখ দিয়ে বলানো হচ্ছে, সেটার কী হবে, এ বিষয় নিয়ে এখনো মুখ খুলেননি ইউনুস। ভবিষ্যতে হয়তো বলবেন, হয়তো আরেকটা ধমকের অপেক্ষা করতে হবে।