।। বিশেষ প্রতিবেদন।।
লন্ডন, ২০ মার্চ। ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের মঈনপুরের প্রবাসীবৃন্দের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উঠে এসেছে ঐক্যই শক্তি। গতকাল ১৯ মার্চ পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেন একটি রেস্টুরেন্টে মঈনপুরের সর্বস্তরের প্রবাসীদের এ মিলনমেলায় অংশ নেন শতাধিক সুধীজন। আনন্দঘন পরিবেশে তরুণ-যুবক আর প্রবীনদের উপস্থিতি ছিল এক মুগ্ধকরা সন্ধ্যা। ইফতারের আয়োজন ছিল সৌহার্দ আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনমাখা প্রীতিময়।
প্রীতি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনের মধ্যে সংস্কৃতিজন সৈয়দ এনামুল ইসলাম, আমিরুল হক জমির, শাহেদুল হক, হেলাল মিয়া ও মোশাহিদ আলী মাস্টার। আরো উপস্থিত ছিলেন মকসুদ আহমেদ, মওলানা মোজাহিদ উদ্দিন, আজরফ আলী নূর, এনামুল হক কোহিনুর, আকমল হোসেন মাস্টার, নূরুল হক, মোহন উদ্দিন, খসরুজ্জামান খসরু,শামীম আহমেদ জাকারিয়া,রফিক হান্নান, আবদুস সালাম, আবু হেলাল, আনোয়ার মিয়া, সৈয়দ ফয়সল আলী, বায়েজিদ মিয়া, পীর ফয়সল ও বাবুল আহমেদ।
অতিথি ছিলেন প্রতিবেশী গ্রাম চানপুর নিবাসী রুস্তুম আলী মাস্টার, চেলার চর নিবাসী কবি হামিদ মোহাম্মদ ও ছাতক বাগবাড়ির কামরুজ্জামান সাকলাইন।
সম্মিলনে অনআনুষ্ঠানিক মতবিনিময় ও কথা বলেন সকলে। সৈয়দ এনামুল ইসলাম বলেন, মঈনপুর গ্রাম এমন একটি গ্রাম যার রয়েছে দীর্ঘ ঐতিহ্য, এই গ্রামের ঐতিহ্য এলাকার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সেবামূলক মনোভাবাপন্ন পরিবেশ ধরে রাখা। এই গ্রামে দক্ষিণছাতক এলাকার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মঈনপুর হাইস্কুল। এক শতাব্দীর অধিককাল থেকে এই স্কুলে শত শত শিক্ষার্থী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে অধ্যয়ন করেন, লজিং থাকেন। এই সব শিক্ষার্থীর সাথে গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবারের সুদৃঢ় ভ্রাতৃত্ব বন্ধন বিরাজমান ছিল, আছে।
উপস্থিত সুধীজন আরো বলেন, সবার মনোজগতে মঈনপুরের আথিয়েতার স্মৃতি রয়েছে। অতিথিপরায়ন হিসাবে মঈনপুরের মানুষের এলাকায় উজ্জ্বল অবস্থান। মঈনপুরের মানুষ এই গর্ব নিয়ে অব্যাহত শিক্ষাযাত্রায় অবদান রাখছে। বর্তমানে দক্ষিণ ছাতক এলাকার সবচেয়ে গৌরবদীপ্ত ‘জনতা ডিগ্রি কলেজ’ মঈনপুরে অবস্থিত। কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় প্রতিদিন মুখরিত থাকে এলাকা। শিক।সানুরাগী হিসাবে এই গ্রাম তার ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছে।
কবি হামিদ মোহাম্মদ বলেন, আমার শারীরিক ঠিকানা চেলার চর,কিন্তু আত্মার ঠিকানা মঈন পুর। স্কুলে পড়ালেখার সুবাদে মঈনপুরেই কাটতো সারা বছর। ঘরে ঘরে ছিল আমাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা। প্রতিটি পরিবারের সদ্স্য হিসাবে গণ্য হতাম। এই স্মৃতি জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্বল। নিজেকে গড়ে তুলেছি মঈনপুরের আলো-হাওয়ায়।
রুস্তুম আলী বলেন, রাতেরবেলায় ঘুমাতাম চানপুর, কিন্তু জীবনের সকল কর্মপরিধি ছিল মঈনপুরকে কেন্দ্র করে। এই স্মৃতি জীবনে অমূল্যসম্পদ।
উল্লেখ্য, মঈনপুর গ্রামে স্কুল কলেজের মাধ্যমে শিক্ষার আলো ছড়ানো ছাড়া রয়েছে বর্ধিষ্ণু একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার, ইউনিয়ন অফিস, হাসপাতালসহ জনহিতকর প্রতিষ্ঠানসমূহ। যেখানে সম্প্রীতির বন্ধনে এলাকাকে ধরে রেখেছে।