দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনের গাজায় নতুন করে অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে শুরু চলছে এই বিক্ষোভ। গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইসরায়েলের রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। এ নিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে টানা তিন দিন ধরে ইসরায়েলে বিক্ষোভ চলছে।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শেন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সরকারি সিদ্ধান্ত এবং গাজায় আবার হামলা শুরুর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার রাজধানী তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। ইসরায়েলের নীল-সাদা পতাকা হাতে তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান নেন। তারা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলের বাকি ব্যক্তিদের মুক্ত করে আনতে নতুন করে চুক্তি করার দাবি জানান।
প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মোশে হাহারোনি (৬৩) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় ভয়ানক শত্রু হচ্ছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ২০ বছর ধরে তিনি আমাদের দেশকে গ্রাহ্য করেননি, আমাদের দেশের নাগরিকদের গ্রাহ্য করেননি।’
বিক্ষোভকারী ইরেজ বারম্যান (৪৪) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা দেড় বছর পর আবারও গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধ দেখছি। এখনো গাজার ক্ষমতায় হামাস। এখনো ওই সংগঠনের হাজার হাজার যোদ্ধা রয়ে গেছে। সুতরাং এই যুদ্ধে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার তার লক্ষ্য অর্জনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’ বিক্ষোভকে ঘিরে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ করা হয়। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। জেরুজালেম ও তেল আবিব থেকে পুলিশ কমপক্ষে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় এখনও হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ৫৯ জনের পরিণতি নিয়ে ভাবছেন না নেতানিয়াহু। জিম্মিদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।