আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো এবং মধ্যপ্রাচ্য ফোরামের নীতি বিশ্লেষণ পরিচালক মাইকেল রুবিন বলেছেন, বাংলাদেশের সামনে এখন অরাজকতা এবং গণতন্ত্রের মধ্যে একটি পথ বেছে নেওয়ার জন্য খুবই সীমিত সময় রয়েছে।
ফার্স্টপোস্টে প্রকাশিত তার মতামত প্রবন্ধে তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
রুবিনের মতে, ইউনূস সর্বোত্তমভাবে জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের জন্য এক “দরকারি গবেট” (useful idiot) এবং সবচেয়ে খারাপভাবে- চীনের হাতের পুতুল হিসেবে কাজ করছেন।
রুবিনের অভিযোগ, ইউনূস বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সামনে এখন তিনটি পথ খোলা রয়েছে: তারা ইউনূস এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রতারণা উপলব্ধি করে রাস্তায় নামতে পারে এবং গণতন্ত্র, সংস্কার ও আইনের শাসনের দাবি জানাতে পারে, যেমনটি মিশরীয়রা করেছিল।
রুবিন স্পষ্ট করে বলেন, শেখ হাসিনার ক্রমবর্ধমান ধর্মনিরপেক্ষ স্বৈরশাসনকে ধর্মীয় স্বৈরতন্ত্র দিয়ে প্রতিস্থাপন করা কখনোই জনগণের লক্ষ্য ছিল না।
রুবিন সতর্ক করে দিয়েছেন, বাংলাদেশের জনগণের নিজেদের পছন্দ করার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইসলামাবাদ, বেইজিং বা নয়াদিল্লি থেকে শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, ইউনূস জামায়াতে ইসলামীর জন্য অপকর্ম আড়ালের চেষ্টা করছেন। গণতন্ত্রের চেয়ে সামাজিক রূপান্তরের এজেন্ডা বেশি প্রাধান্য পায় জামায়াতের কর্মকাণ্ডে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ মাইকেল রুবিন ইরানের ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের তুলনা টেনেছেন; যেখানে আয়াতুল্লাহ খোমেনি গণতন্ত্রের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতায় এসে তা পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ক্ষমতার শূন্যতা দেশটিকে একটি সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
রুবিনের এই নিবন্ধে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং জনগণকে সক্রিয়ভাবে তাদের পছন্দ নির্ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে।