বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের (বৈছা) আন্দোলনে রাষ্ট্রক্ষমতার পট-পরিবর্তনের পর দখল, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দেশব্যাপী হাঙ্গামায় জড়িয়ে পড়েছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এতে ২৫ জেলায় দলীয় নেতাকর্মীরা হতাহতের শিকার হয়েছেন নিজেদের মারামারিতে।
দখল, চাঁদাবাজি ও আধিপত্যের জেরে চট্টগ্রাম জেলাতেই অন্তত ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তুমুল হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে ২৫ জেলায়। এখনো এই দ্বন্ধে স্থানীয় শান্তিপ্রিয় মানুষজন তটস্ত আছেন।
জানা গেছে, গত ২০শে সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরের পুরাতন চান্দগাঁও এলাকায় মাঠ দখল নিয়ে যুবদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সংগঠনটির কর্মী জুবায়ের উদ্দীন বাবু নিহত হন। এই হত্যা মামলায় চান্দগাঁও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১১ই অক্টোবর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের সংঘাতে বিএনপিকর্মী মোহাম্মদ ইমন খুন হন। হত্যায় জড়িত অভিযোগে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, তার ভাই থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সবুজ এবং কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলমকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২১শে মার্চ নগরীর কুসুমবাগে ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার টাঙানো নিয়ে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হালিম শাহ আলম ও নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিতে শাহ আলমের অনুসারী যুবদল কর্মী জিহাদুর রহমান জিহাদ নিহত হন। এ হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৩ই জানুয়ারি মীরসরাই স্টেডিয়ামে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি নিয়ে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষে মো. মুন্না নিহত হন। পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল ইসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মীরসরাই উপজেলা কমিটি ঘোষণার পর বারইয়ারহাট পৌর এলাকায় ২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির দুই নেতার অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় জাবেদ হোসেন নামে এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে ১লা ফেব্রুয়ারি বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে খুন হন দলীয় কর্মী মো. শহীদ। এই মামলায় দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
১৮ই মার্চ একই ইউনিয়নে যুবদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সংগঠনটির কর্মী মোহাম্মদ রমজান আলী ছুরিকাঘাতে খুন হন। যুবদলের চার নেতাকর্মী এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গত ২রা জানুয়ারি সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মীর আরমানকে কুপিয়ে খুন করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি রোকন উদ্দিনের অনুসারীরা হত্যা করেছে আরমানকে।
ইট ও বালুর ব্যবসা নিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ৯ই ফেব্রুয়ারি জঙ্গল ছলিমপুরে মোহাম্মদ মাসুদ নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হন। মামলার এজাহার অনুযায়ী, স্থানীয় বিএনপি নেতা কামরুল হাসান রিদোয়ান ও তাঁর অনুসারীরা মাসুদকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে।
গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি উপজেলার বাড়বকুণ্ডে সাগর থেকে বালু উত্তোলনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধে খুন হন বিএনপি কর্মী রাম দাস। তিন দিন পর কোস্টগার্ড তার লাশ উদ্ধার করে। সাগর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী বিএনপি নেতারা তাকে খুন করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
২৬ মার্চ বাড়বকুণ্ডে নিহত হন সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির। হত্যায় জড়িত অভিযোগে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সন্দ্বীপে গাছুয়া ইউনিয়নে বাড়ি থেকে তুলে বিএনপি কার্যালয়ে পিটিয়ে দলটির কর্মী আইয়ুব জাহাঙ্গীরকে খুন করা হয়। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শাহাবুদ্দিন সুমনের নেতৃত্বে তাকে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
১৫ই মার্চ রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের আমিরহাট বাজারে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় যুবদল নেতা করম উদ্দিন জিতুকে। বিএনপির কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারর নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ১৮ই মার্চ জিতুর স্ত্রী ডেজি আক্তার উপজেলা বিএনপির সদস্য মহিউদ্দিন জীবনসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজারে ১লা ফেব্রুয়ারি বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার সমর্থকদের আধিপত্য, চাঁদাবাজি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত হন হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীম গাজী ও বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফারুক কবিরাজের মধ্যে মাছঘাট, মেঘনার চর ও কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজি ও দখল নিয়ে ৭ই এপ্রিল খাসেরহাট বাজারে সংঘর্ষে নিহত হন বিএনপি নেতা সাইজ উদ্দিন দেওয়ান।
বগুড়া জেলায় আধিপত্য বিস্তার, পরিবহন ব্যবসা দখল ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে তিন বিএনপি নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
১০ই সেপ্টেম্বর রাতে গোকুল এলাকায় মহাসড়কের পাশে ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতির কার্যালয়ে হামলায় নিহত হন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান। গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সুমন আহমেদ বিপুলের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন অস্ত্রধারী হামলা করে। পরের দিন ভোরে বিপুলের চাচাতো ভাই যুবদল কর্মী লেদো প্রামাণিককে পিটিয়ে খুন করে মিজানের অনুসারীরা।
গোকুল বাসস্ট্যান্ড ও বাঘোপাড়া বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মিজান ও বিপুলের বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই ঘটনায় বিপুলকে বহিষ্কার করেছিল যুবদল। মিজানের স্ত্রী সালমা আক্তার নিশার মামলায় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে ৭ই ফেব্রুয়ারি যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদের ওপর হামলা হয়। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত ১১ই মার্চ রাজশাহীর তানোরের পাচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলে সংঘর্ষে সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমিনের ভাই গানিউল ইসলাম নিহত হন।
গত ২৭শে মার্চ তানোরের চান্দুরিয়া ইউনিয়নে বিএনপির ইফতার মাহফিলে বর্তমান সভাপতি আজাদ আলী ও সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দীন গ্রুপের সংঘর্ষে কৃষক দলের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক নেকছার আলী নিহত হন।
গত ৭ই মার্চ রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জে মহিলা দলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক লাভলী খাতুন ও সাবেক যুবদল নেতা মারুফ হোসেনের অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় কোপানো হয় রিকশাচালক গোলাম হোসেনকে। পরে তিনি মারা যান।
খুলনা বিভাগে দখল, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য নিয়ে বিএনপির ৮ নেতাকর্মী খুন হয়েছেন নিজেদের দলের লোকদেও হাতে।
বাগেরহাটের কচুয়ায় ধোপাখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে ১১ই ফেব্রুয়ারি দেপাড়া বাজার এলাকায় সংঘর্ষে আহত শওকত হোসেন ৯ দিন পর মারা যান। তিনি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গত ৯ই নভেম্বর যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় যুবদল কর্মী সন্ত্রাসী পিয়াল হাসান খুন হন। তিনি ঝিকরগাছা বাজারে মুরগির ব্যবসা করতেন। পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালকে কুপিয়ে জখম করে। পালাতে চাইলে বোমা মারে হামলাকারীরা। পিয়াল একটি স্কুলে আশ্রয় নিলে তাঁকে সেখানেও কোপায় হামলাকারীরা।
চুয়াডাঙ্গা সদরে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক ৮ই মার্চ খুন হন টিসিবির পণ্য নিয়ে দলটির দুই পক্ষে সংঘর্ষে।
২৩শে অক্টোবর জেলার দামুড়হুদার বোয়ালমারী গ্রামে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত হন ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সুলতান হোসেন। ১লা নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন ও বিএনপি কর্মী দবির উদ্দিনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাকিমপুর গ্রামে ১১ই ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষে নিহত হন দলীয় কর্মী মোশাররফ হোসেন।
গত ১৯শে ডিসেম্বর মাগুড়ার সদর উপজেলার বেরইল পালতা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত সাবেক এবং বর্তমান ইউপি সদস্যের সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম নিহত হন।
৩০শে আগস্ট সদর উপজেলার ডেফুলিয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে খুন হন স্থানীয় কৃষক দলের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি ওয়াজেদ আলী। গত শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জেলা যুবদলের সদস্য মুন্সী মিরান মাল্লিকের।
মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়ায় গত ৩০শে মার্চ তার ওপর হামলা করে মাগুরা ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য জামিরুল ইসলামসহ কয়েকজন। মিরানের মৃত্যুর পর তাঁর সমর্থকরা জামিরুলের বাড়িতে আগুন দিয়েছে।
কিশোরঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ১২ই জানুয়ারি রাউনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন খুন হন। কটিয়াদীতে ২২শে মার্চ স্কুলের কমিটি নিয়ে বিরোধের সংঘর্ষে মুমুরদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক খাঁ নিহত হন।
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে বাসস্ট্যান্ড দখল, আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে যুবদলের দুই কর্মী নিহত হন।
৭ই আগস্ট জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পৌর শহরের নতুনবাজার ম্যাক্সিস্ট্যান্ড দখল করতে যান তার সমর্থকরা। সেখানে যুবদলের আরেক নেতা মো. সুমনের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সুমনের সমর্থকরা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরদিন উপজেলার কাচারি রোড রেলক্রসিং এলাকায় সবুজ আকন্দ নামে যুবদলের আরেক কর্মীকে হত্যার করা হয়।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদ খান ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস শেখের মধ্যে বিরোধের জেরে ১১ই সেপ্টেম্বর সংঘর্ষ হয়। লোহাগড়ার মল্লিকপুর ইউনিয়নের বিএনপিকর্মী মিরান শেখ ও জিয়া শেখ নামের দুই ভাই নিহত হন। তাদের আরেক ভাই মল্লিকপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকরাম শেখ বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদ খানসহ ৩৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ভোলার বদরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর বাজারের চাঁদাবাজি নিয়ে ১৮ই নভেম্বর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল অনুসারীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান তিন দিন পর মারা যান।
গত ১১ই মার্চ মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের নুরুদ্দিন বাজার এলাকায় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ। এ ঘটনায় মামলা হলেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি বিএনপি।
শেরপুরে সদরে ১০ই সেপ্টেম্বর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন বিএনপি সমর্থক আশরাফুল আলম মিজান ও আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ। সদর উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া বাদলকে কামারিয়া ইউনিয়ন এলাকায় ২৫শে ফেব্রুয়ারি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জে গত ১৮ই মার্চ চনপাড়ায় পুনর্বাসন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় যুবদল নেতা শামীম এবং স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রব্বানী গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন যুবদল কর্মী হাসিবুর রহমান।
ফতুল্লায় থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসাইনকে ৭ই ফেব্রুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়।
২৪শে ডিসেম্বর রাতে রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বায়েজীদ ও তার সহযোগীদের মারধরে ছাত্রদল নেতা পাভেল মিয়া নিহত হন।
মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে গত ৯ই ডিসেম্বর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে লাভলু আহমেদ নামে ছাত্রদলের সাবেক নেতা নিহত হন। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
এ ছাড়াও সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, ঝিনাইদহ, রংপুর, ফরিদপুর, ঢাকার ধামরাইয়ে একজন করে নিহত হয়েছেন।
আহত-নিহত ছাড়াও গত বছরের ৫ই আগস্টের পর প্রতিটি জেলায় চাঁদাবাজি ও দখল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে আছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।