।। জয় বাংলা প্রতিবেদন।।
‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’এই শ্লোগান নিয়ে রাজনীতির মাঠে ছাত্রলীগ, যুবলীগএবং আওয়ামীলীগ। গত এক পক্ষকাল ব্যাপী এই শ্লোগানে রাজপথে নেমেছে সংগঠনগুলো। প্রথমেই সিলেটে এই দাবী নিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করে ছাত্রলীগ। সিলেট শহরে মিছিল করে তারা।এই মিছিলের জেরে বিএনপি কম্পন শুরু হয়। তেড়ে গিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের বাসাবাড়িতে হামলা চালায় বিএনপি। কিন্তু জ্বলে ওঠে দেশ। টুঙ্গিপাড়া, চট্টগ্রাম, ফেনী, রাজশাহী সর্বশেষ ঢাকা মহানগরীতে ১৫ এপ্রিল মিছিল বের করে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ।

সম্প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এক বার্তায় বলেন, ‘আমি আসছি,যারা দেশে অশান্তি, অরাজকতা করছে, তাদের শাস্তি দেবো।’এই বার্তায় দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাহস পায়। তারা রাজপথে নেমে আসে একে একে। দেশ আবার উত্তাল হয়ে ওঠার পথে।
যতই শোনা যাচ্ছিল যে, আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করা হবে,বা রাজনীতি করতে দেয়া হবে না, ততই দ্বিগুণ তেজে আওয়ামীলীগ ফিরে আসার বার্তা দেশের হাওয়ায় শুধু নয়, রাজপথেও ভাসছে। অলিতেগলিতে শোনা যাচ্ছে পদধ্বনি,ছুটছে রাজনীতির অশ্বেরা।
মিছিলগুলোতে দেখা যাচ্ছে, নেতাকর্মীরা অগ্নিশপথ নিচ্ছেন,এই বলে ‘ইউনুস হটাও, দেশ বাঁচা’। এই শপথকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো কারণ নেই। শপথের দৃশ্য দেখলেই বুঝতে অসুবিধা হয় না, এই শপথের ভেতর দৃঢ়তার জোর কতটা। তাই অতীতের পাঁচ-ছয় মাস দেখা গেছে, আওয়ামীলীগ রাজপথে দাঁড়াতেই পারেনি। তখন তথাকথিত ‘বৈষম্যবিরোধীদের রাজপথে শক্তি বেশী ছিল। এখন এই কয় মাসে বৈষম্যবিরোধীদের নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি, চাঁদাবাজি ও জোরজবরদস্তিমূলক,মবজাস্টিজ সৃষ্টিকরার কারণে মানুষ বুঝতে পরেছে, এরা আসল নয়। নকলদের খপ্পরে পড়ে দেশে এখন হায় হায় দশা।
এই অবস্থায় গত কয়দিনের মিছিলে বৈষম্যবিরোধীরা বা এনসিপি কিংবা মবরা পাল্টা আক্রমনে আসেনি, নিশ্চিহ্ন করার শক্তি আর দেখাচ্ছে না।এ পিছু হটা কী হটে যাওয়ার লক্ষণ! ভবিষ্যতই বলবে রাজনীতির এই সমীকরণ।
আরো শোনা যাচ্ছে, জাতিসংঘ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র চাইছে।ট্রাম্প প্রশাসনও তাঁর পূর্ববর্তী সরকারের বাংলাদেশ সম্পর্কে কারসাজি নিয়ে বিরক্ত। কেউ কেউ বলছেন, শেখ হাসিনাকে অতি দ্রুত তাঁর পদে প্রতিস্থাপিত করা হবে, এর পেছনে জাতিসংঘ,ট্রাম্পসহ আরো কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন এবং শক্তিশালি দেশ কাজ করছে।

তবে কতকিছুই তো বাতাসে ভাসে। এগুলোর সত্যতা যাচাই করা কঠিন। কিন্তু যখন শেখ হাসিনা নিজে বলছেন, তখন তো অবশ্যই তাঁর দলের নেতা কর্মীরা নড়েচড়ে বসবেন, এটা জানা কথা।

আরো খবর, দেশে বিদেশে থাকা সচেতন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বাংলাদেশের মূল্যবোধে বিশ্বাসী কোনই মানুষই বর্তমান মৌলবাদী উত্থানে তুষ্ট নন। দেশের অর্জিত মূল্যেবোধের বিপরীতে হাঁটা দেশ কেউ কখনোই চায় না। তাই মানুষ বিস্মিত, বিমূঢ়। এই পরিস্থিতিতে যখন ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এই শ্লোগান রাজপথে শুরু হয়ে গেছে, তখন নানা গুজব ডালপালা মেলা শুরু করে দিয়েছে। শুধু চা-স্টলে আলোচ্য নয়, টকশো গুলোতে বিজ্ঞ জনরা পাল্টাপাল্টি কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। কথা উঠছে, সত্যি তো শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি,এর তো কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। সাংবিধানিক এই ফাঁক দিয়ে শেখ হাসিনা যদি প্রতিস্থাপিত হয়ে যান, তবে বিস্ময়ের আর কী আছে!