।। মোহাম্মদ আলী আরাফাত।।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ৮ মাসে ইউনূসের আমলে এক টাকাও বৃদ্ধি পায়নি। ২০২৪ এর জুলাই শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০.৩৯ বিলিয়ন ডলার। ৮ মাস পরে এসে ২০২৫ এর মার্চের শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০.৩৮ বিলিয়ন ডলার।
শেখ হাসিনার আমলে দেশে অনেক ঋণ করা হয়েছিল এমন বক্তব্যগুলো মিথ্যা। কারণ ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন ডেট টু জিডিপি রেশিও (Debt to GDP ratio) ছিল ৩৪% এবং ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের ডেট টু জিডিপি রেশিও ছিল ৩৬%। কাজেই বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল যৌক্তিকভাবে এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
শেখ হাসিনার সরকার অনেক ঋণ করে রেখেছে বা দেশকে ঋণগ্রস্ত বানিয়েছে—এসব কথা বলা যেত Debt to GDP ratio শেখ হাসিনা ৭৭% উপরে নিয়ে যেতেন। কিন্তু তা তো হয়ইনি, বরং শেখ হাসিনা Debt to GDP ratio ৭৭% এর অনেক নিচে রেখেছিলেন।
শেখ হাসিনা Debt to GDP ratio মাত্র ৩৬ শতাংশ রেখে দেশে যে বিশাল উন্নয়ন করেছেন, সেটা একটা আশ্চর্যের বিষয়। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখলে যে কেউই তা অনুধাবন করবে।
অনেকেই বলে আমরা চলে যাওয়ার পর গত ৮ মাসে ইউনূস সরকারকে আমাদের করে যাওয়া ঋণ শোধ করতে হয়েছে। এটি একদম বাজে কথা। ঋণ শোধ একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রতিটি দেশেই তা করে। আমরাও ধারাবাহিকভাবে ঋণ শোধ করে যাচ্ছিলাম, গত ৮ মাসেও তাই হয়েছে। আমরা থাকলেও এই ঋণ শোধ হতো। আমরা ঋণ করেছি, ঋণ শোধ করেছি, একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছি।
কিন্তু কথা হলো, গত ৮ মাসে নাকি কোনো অর্থ পাচার হয়নি—তাহলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক পয়সাও বাড়েনি কেন?
লেখক: সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ