কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় মামলার আসামী হিসেবে আদালতে তোলার সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান দেশের চলমান সরকারকে ভৎসনা করে বলেছেন, ‘রাজাকার থাকে ক্ষমতায়, আর মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।’
২১শে এপ্রিল, সোমবার হাজত খানা থেকে আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়ার পথে এ কথা বলেন তিনি।
গত ৫ই আগস্ট শাহবাগ থানার চানখারপুল এলাকায় আন্দোলনরত উচ্ছৃঙ্খল লোকজনের সাথে অংশ নিয়ে নিহত হন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। ৫ই আগস্টের পর গত ১৪ই মার্চ শাহবাগ থানায় নিহতের স্ত্রীর করা মামলায় শাহজাহান খানসহ দলটির অসংখ্য নেতাকর্মীদের নামে গণমামলা করা হয়। আসামী হিসেবে শাহজাহান খানকেও গ্রেপ্তার দেখান আদালত।
গত বছরের ৫ই সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এদিন বৃষ্টির মধ্য দিয়ে অন্যদের সঙ্গে শাহজাহান খানকে আদালতে এনে হাজত খানায় রাখা হয়।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় হাজত খানা থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে আনা হয় তাকে। আদালতে আনার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।’ নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘অবশ্যই নির্বাচন করবো।’
পরে বৈছা আন্দোলনের জুট ব্যবসায়ীর ‘হত্যা মামলায়’ শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার মাইনুল ইসলাম খান পুলক। আদালত গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে শাজাহান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘তোমরা কিছু বলো না। শুধু আমাকে দিয়ে বলাতে চাও।’
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুই পুলিশ সদস্যকে হুমকি দিয়েছেন শাজাহান খান, এমন অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি সত্য বলেছি। যা ঘটেছে তাই বলেছি।’ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।