।। জয় বাংলা প্রতিবেদন।।
গতকাল ২০ এপ্রিল ছিল যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের ছেলের বিয়ে। এই বিয়ের অনুষ্ঠনে একসঙ্গে দেখা গেল আওয়ামী লীগের সাবেক চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে। রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনের ওটু এলাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এ বিয়ের অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ সময় সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আব্দুর রহমান, খালিদ মাহমুদ, শফিক চৌধুরী দের সাথে ছবি তোলার জন্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায়।
এর আগে লন্ডনের একটি হাসপতালে সাবেক চার মন্ত্রীকে একসঙ্গে দেখা গেছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় একটি হাসপতালে তাদের দেখা যায়।
জানা গেছে, অসুস্থ আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফকে দেখতে গিয়েছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।এসময় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি এক ইফতার পার্টিতে প্রকাশ্যে জড়ো হতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের। পূর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন হলে বুধবার (২৬ মার্চ) ওই ইফতারের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমান। এছাড়া, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক প্রবাস কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নেতারা শুধু উপস্থিতই হননি, বক্তৃতাও দিয়েছেন। তারা নিজেদের মধ্যে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের’ বিরোধিতা ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ফিরিয়ে আনার পক্ষে কথা বলেন। সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীদের একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও, এই প্রথম লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে একত্রে অংশ নিতে দেখা গেল তাদের।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর লন্ডনে একটি ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে আবদুর রহমান ও শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রকাশ্যে দেখা দেন। ২ ফেব্রুয়ারি দলের একটি কর্মীসমাবেশে হাজির হন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তবে ড. হাছান মাহমুদ ইতিপূর্বে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ ও জার্মান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিয়েছেন। সর্বশেষ ৩০ মার্চ তিনি নেতা কর্মিদের সাথে ঈদের জামাতে অংশ নিয়ে লন্ডনে উপস্থিতি জানান দেন হাছান মাহমুদ।
এছাড়া জয়বাংলা’নিউজ পোর্টালে সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. আবদুর রহমান, হাছান মাহমুদ এবং শফিকুর রহমান চৌধুরী পৃথক পৃথক সাক্ষাতকার দিয়েছেন।তারা প্রত্যেকেই আওয়ামীলীগের ঐক্যবদ্ধ থাকা নিয়ে কথা বলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ আছে এবং অবৈধ ইউনুস সরকারের পদত্যাগ দাবীসহ জনগণের ক্ষমতা পুনরায় জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান।
ঐ মন্ত্রীরা নিয়মিত লন্ডনে থাকা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করছেন, উপস্থিত হচ্ছেন সভাসমিতিতে। এতে এই বার্তা দিচ্ছেন যে, আওয়ামীলীগ জনগণের রাজনৈতিক সংগঠন, এই দল হারিয়ে যেতে পারে না, মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার আওয়ামীলীগ দেশের ৯০ভাগ মানুষের অন্তরে আছে, যে কোনো ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা ও প্রতিহত করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ,বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে সমুন্নত রাখবে। এ প্রত্যয়ের কথা তারা ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য বর্তমানে লন্ডনে সভাসমিতিতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি লক্ষণীয়।এছাড়া ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে সকলকে উজ্জ্বীবিত অংশগ্রহণ দেখা যায়।