ইউনূস সরকারের আস্থাভাজনদের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বিনা অপরাধে কারাগারে পাঠানো আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান ৬১ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালত জামিন আদেশে বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ নেই। বিনা অপরাধেই তাদেরকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ সুধীজনের।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূইয়া এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজহারুল হক।
আদালত আদেশে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকায় তারা জামিন পেয়েছেন। জামিনের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হবে কি না, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ভূইয়া।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের ওপর হামলা, চেম্বার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আওয়ামী লীগপন্থি ১৪৪ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় ১১৫ জন উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন।
জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ৬ই এপ্রিল ৮৩ জন আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। আদালত সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ সাগর এবং ১৮ জন নারী আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেন। তিনজন পলাতক থাকায় বাকি ৬১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রভাবশালী আইনজীবীদের অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানোয় দেশ বিদেশে ইউনূস সরকারের সমালোচনা করেন আইনজ্ঞরা।
এই আইনজীবীরা যাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনী সহায়তা দিতে না পারেন সেজন্যই সরকার তাদেরকে মামলা মোকদ্দমায় জড়াচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। ইউনূস সরকার গত ৫ আগস্টের পর সাধারণ মানুষের আইনী অধিকারও কেড়ে নিয়েছেন বলে মনে করেন সুধীজন।