বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাসহ ১০ জন সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত করা হয়েছে। এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের অনুবিভাগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এহেন অসাংবিধানিক, বেআইনি এবং নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের মতো কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাদের পরিচয়পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলেও গতকাল ২১ এপ্রিল, সোমবার বিষয়টি প্রকাশ পায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের এনআইডি স্থগিত করা হয়েছে। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং দুই মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকসহ সর্বমোট ১০ জনের এনআইডি স্থগিত করা হয়েছে। অথচ শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলেমেয়ে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। সর্বোপরি নজিরবিহীনভাবে এনআইডি স্থগিত করা অবৈধ দখলদার সরকারের শিষ্টাচার বহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আরেকটি নমুনা।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যেই সরকারি কর্মকর্তা এই নির্দেশ দিয়েছেন এবং যারা সেই নির্দেশ পালন করেছেন সবাই সরকারি দায়িত্ব পালনের বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তারা যা করেছেন সুস্পষ্ঠভাবে তা বেআইনি, মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন। কেননা, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সর্বশেষ আইনে কোন দণ্ডিত ব্যক্তির এনআইডিও কেউ বাতিল বা স্থগিত করতে পারেন না। কেবলমাত্র নাগরিকত্বের অবসান হলেই জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করা যাবে। সুতরাং, যাদের নির্দেশেই তারা এই অন্যায় কর্মটি সম্পন্ন করেছেন তারা সকলেই রাষ্ট্রীয় কার্য পরিচালনায় ব্যক্তির ইচ্ছা, অভিলাষ, জিঘাংসা চরিতার্থ করতে এরকম উদ্ভট ও অন্যায় কাজ করেছেন। বাংলাদেশের সাধারণ আইন ও সরকারি কর্মচারী বিধি মোতাবেক এটি দণ্ডনীয় অপরাধ।
এই যথেচ্ছাচারের দুটি অর্থ আছে। এক. যেনতেনভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হেনস্থা ও হেয় করা। গত বছরের পাঁচই আগস্টের পর থেকে অবৈধ দখলদার সরকার ও তার অনুগত রাজনৈতিকবর্গ ধারাবাহিকভাবে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারকে কালিমালিপ্ত করার হীন অপপ্রয়াস চালিয়ে আসছে। এই ঘটনা সেই ধারাবাহিকতায় নতুন সংযোজন।
দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের উপর অত্যাচার-নিপীড়নে সকল আইন, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার লংঘন করে ভয়ের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। সরকারের আইন ও মানবাধিকার লংঘনের মচ্ছবে সারাদেশের রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষ আজ ভীত-সন্ত্রস্ত।
আমাদের আশঙ্কা, জাতীয় পরিচয়পত্র ‘লক’ করে তারা উল্লিখিতদের তথ্যবিকৃতি ঘটিয়ে কুৎসা রটাতে পারে। তথ্য জালিয়াতি করে মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপনের মাধ্যমে ফাঁদ তৈরি করার ষড়যন্ত্র করতে চায়। অবৈধ এই সরকারের এরকম উদ্ভট আচরণের জবাব জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ দেবেই দেবে। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তি ও বিবেচনার প্রতি আস্থাশীল।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।আঁধার কেটে ভোর হোক। তারিখ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫