।। জয় বাংলা রিপোর্ট ।।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর নজিরবিহীন দমন-পীড়ন ও নির্বিচারে গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ। ২২ এপ্রিল অফিসিয়াল পেইজে প্রতিবাদপত্রে বলা হয়-
‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অবর্ণনীয় দমন-পীড়নসহ নির্বিচারে তাদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সকল উপায়ে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ধরনের অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন ও গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি রাজবন্দিসহ সকল বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ প্রতিদিন নতুন নতুন ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে দেশ থেকে মানবিকতা উবে গেছে। মানুষে মানুষে ঐক্য ও পারস্পরিক সহমর্মিতা উঠে গেছে। দেশের মানুষের মাঝে পরিকল্পিতভাবে স্বার্থপরতার নিকৃষ্ট দর্শনের বিষবৃক্ষের বীজ বপন করে চলেছে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতাহীন অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে, পারস্পরিক সম্পর্কের মাঝে অবিশ্বাসের দেয়াল তুলে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার পাঁয়তারায় লিপ্ত। ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার রাষ্ট্র বা জাতি গঠনের কোনো দর্শন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে না। তাই জনগণের নিত্য দিনকার দুঃখ-বেদনা ও কষ্ট আজকের দখলদার গোষ্ঠীর হৃদয়কে সিক্ত করে না। তারা নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিয়ে নজিরবিহীনভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর দমন-পীড়ন ও অত্যাচার চালাচ্ছে। ছেলে ছাত্রলীগ করার কারণে মাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল হোসেনের পিঠের ওপর পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় করে শহর ঘোরানো হয়। নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল হোসেনের পিঠের ওপর পাড়া দিয়ে চলন্ত অটোরিকশায় করে শহর ঘোরানো হয়। আওয়ামী লীগের বাসাবাড়িতে লাগাতারভাবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালানো হচ্ছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনও আজ হুমকির মুখে। অত্যাচার-নির্যাতনের নব নব পন্থা উউদ্ভাবন করা হচ্ছে। আর বাংলাদেশ ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে। আজকের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি চরম অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। কিন্তু এর আচ সাধারণ মানুষের উপর গিয়েও পড়ছে। আজ দেশের প্রতিটি মানুষ অনিরাপদ হওয়ার পাশাপাশি অনিরাপদ হয়ে পড়ছে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র। যেটা এই ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং পরিকল্পিতভভাবে করে চলেছে।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গণমানুষের প্রতিষ্ঠান। জনগণের অধিকার আদায়ের অবিরাম লড়াই-সংগ্রাম করে চলাই আওয়ামী লীগের ধর্ম। কোনো দানবীয় শক্তিই আওয়ামী লীগকে এই ব্রত থেকে দূরে সরাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হলেই ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার নির্বিচারে তাদের গণগ্রেফতার চালায়। তাদেরকে না পেলে পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি পালন এবং মিছিল করার জন্য সারা দেশে নির্বিচারে ধরপাকড় চালাচ্ছে। এই অবৈধ দখলদার গোষ্ঠী যত বেশি অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিল তত বড় হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইস্পাত-দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যে দলের নেতাকর্মীরা এমন অদম্য স্পৃহা নিয়ে কাজ করে তাদের রুখবে সাধ্য কার! সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের মিছিল হওয়ায় বাছবিচারহীনভাবে গ্রেফতার চালানো হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক, ওয়ারী থানার অন্তর্গত ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সম্ভুনাথ বনিক জটা, যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে মিছিল শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি হারুন আর রশিদ সহ ৫ জন, ৫৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ মো: জসিম, ৫৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ রবিউল ইসলাম লিটন, শ্যামপুর থানা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর হাওলাদার, নেসারিয়া মাদ্রাসা ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মামুন মিয়া, ১নং ইউনিট যুবলীগের সভাপতি মো: রাজন, ৫৮ নং ওয়ার্ড কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলী আজগর, ৫৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো: সেহেল এবং কুমিল্লায় ৮ জন, খুলনায় ৫৬ জন নেতাকর্মীসহ সারা দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ মহিলা লীগ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগের লক্ষাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বিচারে গ্রেফতার ও বিনাবিচারে আটক রাখার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে সকল বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে মানবিক বোধসম্পন্ন প্রত্যেকটি মানুষকে এই অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার-নির্যাতন ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।