গত বছরের ৫ই আগস্ট রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি দেশে সহিংসতা, গুপ্ত হামলা ও খুনের ঘটনা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল জোরদার করলেও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা।
অন্যদিকে গুপ্ত সংগঠন জামায়াত-শিবির নানাভাবে মব উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তোলছে। অন্তর্বর্তী সরকারও দমন-পীড়নে বিরোধী মত ও মুক্তমনাদের নানাভাবে হয়রানি করছে। বাকস্বাধীনতা আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে এখন আরো খারাপ হয়েছে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
গত রোববার ভোরে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় পেট্রোলবোমা হামলায় লাইলী বেগম (৫০) ও তার পুত্রবধূ ঝর্ণা (৩০) দগ্ধ হন। অজ্ঞাতনামা তিন মুখোশধারী মোটরসাইকেল আরোহী এই হামলা চালায়। পুলিশ সন্দেহ করছে, কোনো জঙ্গি সংগঠন এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
একইদিন ভোরে ঢাকার হাতিরঝিল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হন যুবদল সদস্য আরিফ সরদার (৩৫)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এর আগে গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে সিজন (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া, শনিবার ঢাকার বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র পারভেজ।
ছাত্রদল ও বৈছা আন্দোলন একে অপরকে দোষারোপ করলেও পুলিশ বলছে, ব্যক্তিগত ঘটনার জেরেই এ সহিংসতা ঘটেছে। অন্যদিকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের ঝটিকা মিছিলও দেখা গেছে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায়।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া ঘিরে চলমান কর্মসূচি এবং ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষও পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে। এসব ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। সূত্র: BDDIGEST, ২৪ এপ্রিল।