দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি আজ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে সেনা বা নৌবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপদ নন। সর্বশেষ ঘটনার কেন্দ্র লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা, যেখানে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও তার দুই মেয়েকে #নির্মমভাবে #কুপিয়ে #জখম করা হয়েছে।
এই ঘটনা যেন প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউনুস শাসনের সেই ভয়ঙ্কর বাস্তবতার, যেখানে অপরাধীরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া, আর সাধারণ মানুষ জর্জরিত নিরাপত্তাহীনতায়।
নামমাত্র আইনের শাসন আজ কেবল রাজনৈতিক বক্তৃতায় সীমাবদ্ধ। বাস্তবে, জনগণ বিচার পায় না, পুলিশ প্রশাসন থাকে নির্বিকার, আর অপরাধীরা হয়ে ওঠে আরও ভয়ংকর। লক্ষ্মীপুরের এই #হামলা শুধু একটি isolated ঘটনা নয়—এটি হচ্ছে সেই ধারাবাহিক #সহিংসতার অংশ, যা চলমান সরকার ও তার ব্যর্থ নিরাপত্তা ব্যবস্থার সরাসরি ফল।
একজন সাবেক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা—যিনি একসময় দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করেছেন—আজ তার নিজ বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে রক্তাক্ত হচ্ছেন, অথচ প্রশাসন জানে না, দেখে না, ঠেকায় না। বরং #মামলা করতে গেলেও হুমকি-ধমকি শুনতে হয়, “মামলা করলে মেরে ফেলব”—এই হচ্ছে এখনকার বাস্তবতা।
জমির মতো একটি সাদা-সিধে বিষয় নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বিরোধ চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো স্থায়ী সমাধান বা পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তার ফলেই এক সময় তা রক্তাক্ত সহিংসতায় রূপ নেয়।
প্রশ্ন হলো, এই দেশে এখন কারা নিরাপদ? সেনা, নৌ, পুলিশ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা যদি নিজের সন্তানদের নিয়ে ঘরে বসে নিরাপত্তা না পান, তাহলে সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, গৃহবধূদের অবস্থা কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
ইউনুস সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন এমন ঘটনা চলতেই থাকবে—কারণ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি, পক্ষপাত ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে গেছে। অপরাধীদের #গ্রেপ্তারের তো প্রশ্নই আসে না, বরং তারা সাহস করে প্রকাশ্যে ভিডিও করে হুমকি দেয়, যেন জানে—তাদের কিছুই হবে না।
দেশ এখন এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেখানে বিচার চাওয়া মানে নতুন বিপদের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এই ব্যবস্থার নাম যদি “শাসন” হয়, তাহলে সেটা শুধু নামেই গণতন্ত্র—আসলে এক নীরব #সন্ত্রাস।