সমন্বয়কদের চাদা না দেওয়ায় সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের রাধানগর ব্রিজ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাদা বাদি করেছেন এই বৈছা নেতারা। টাকা না দিলে কাজ করতে দিবেনা এমন হুমকিও দিয়েছেন। এদিকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিষয়টি এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেনকেও অবগত করেছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার সুবেল আহমদ বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে রাধানগর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক জিহান জুবায়ের ও সদস্য সচিব মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে ১০-১২ জন এসে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দ্রুত তাদের সঙ্গে ঠিকাদারকে দেখা করতে হুমকি দেয়। কাজে অনিয়ম হচ্ছে দাবি করে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে। চাদা দাবির পর থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে সমন্বয়কদের হুমকির কারণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য সমন্বয়ক মেহেদি হাসান, উসমান গণি, আব্দুল বারীসহ একটি চক্র ৫ আগস্টের পর মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করছে। সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, ঠিকাদারদের জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা সীমান্তে চোরাচালানে সহযোগিতা, অবৈধ ভাবে নদী থেকেবালু পাথর উত্তোলনের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সমন্বয়ক মেহেদী হাসান ঠিকাদারের সাইটে যাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমরা কাজের অনিয়মের বিষয়টি দেখতে গিয়েছিলাম। পরে বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) সুনামগঞ্জের প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। চাঁদা দাবি কিংবা কাজ বন্ধের হুমকির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সরকারি কাজে সহায়তার জন্যই তিনি সাইটে গিয়েছিলেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। তারা কীভাবে বুঝলেন অনিয়ম হয়েছে। অযাচিত হস্থক্ষেপের বিষয়টি এনসিপির সদস্য সচিব আকতার হোসেনকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলতে এখন কিছু নেই। আপনি মামলা করেন। আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ঠিকাদারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে আমরা স্পটে গিয়ে কাউকে পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক ও সড়কের রাধানগর এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মাণসহ উন্নয়নকাজে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বদরুল ইকবাল লিমিডেট। সম্প্রতি সড়ক ও ব্রিজের কাজও শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ পরিচালন করছেন সিলেটের ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম।