লালমনিরহাটের ভুট্টাক্ষেতে পড়ে থাকা জান্নাতীর নিথর দেহটা শুধু একটা #হত্যাকাণ্ড নয়—এটা এই জাতির শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়া ব্যর্থতা, কাপুরুষতা আর নৈতিক দেউলিয়াপনার উলঙ্গ দলিল। ১১ বছরের স্কুলছাত্রী জান্নাতী আক্তার, যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে, যে স্কুলব্যাগে বই নিয়ে স্বপ্ন বুনে, তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুখে মাটি গুঁজে #হত্যা করেছে এক পাশবিক নরপশু। #ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে খুন!
আর এই সময় বাংলাদেশ শাসিত হচ্ছে এক #অবৈধ, অগণতান্ত্রিক, অসৎ, অক্ষম ও #নপুংসক তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বারা, যার রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে তথাকথিত ‘নোবেল বিজয়ী’ ইউনুসের হাতে।
জান্নাতীর এই #নৃশংস #হত্যার দায় একা সেই খুনির নয়—এই রক্তের ভাগীদার হচ্ছে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা, যে রাষ্ট্র এখন আর জনগণের নয়, বরং একদল সুবিধাবাদী আন্তর্জাতিক দালালের পা চাটা পুতুল সরকারের হাতে বন্দী।
এই সরকার ক্ষমতা দখল করেছে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর সেই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিকার হলো আমাদের নারী ও শিশু—কারণ একটা অক্ষম সরকার কখনোই দুর্বৃত্তদের রুখে দাঁড়াতে পারে না।
এই জান্নাতীর লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা কেবল শোক জানিয়ে বসে থাকতে পারি না। কারণ এই শোক যদি ক্রোধে না রূপ নেয়, তাহলে কাল আরেকটি জান্নাতী, আরেকটি তানহা, আরেকটি মুক্তা রক্তাক্ত হবে সেই একই ভুট্টাক্ষেতে, অথবা কোনো ঘরের কোণে।
জান্নাতীর রক্ত আমাদের ঋণী করেছে। যদি আমরা এখনও চুপ থাকি, তাহলে আগামীকাল আরেক জান্নাতী, পরশু আরেক মুক্তা, আরেক লিজা—এইভাবে একের পর এক মাটিতে মিশে যাবে।
আর ক’জনের লাশ লাগবে আমাদের জাগতে? সূত্র: আওয়ামীলীগ পেইজ।