চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সংঘটিত অপরাধের ঘটনায় করা #মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়– #খুন, #অপহরণ, #ডাকাতি, #ছিনতাইসহ ছয় ধরনের অপরাধ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে।
সারাদেশের সব ধরনের অপরাধের তথ্য নথিভুক্ত করে পুলিশ সদরদপ্তর। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শুধু #হত্যার ঘটনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে #মামলা হয়েছে ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি এবং মার্চে ৩১৬টি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে সারাদেশে হত্যা #মামলা নথিভুক্ত হয়েছে যথাক্রমে ২৩১, ২৪০ ও ২৩৯টি। গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের মার্চে #হত্যা #মামলা বেশি হয়েছে ৭৭টি। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বেশি হয়েছে যথাক্রমে ৬৩ ও ৬০টি।
‘সমাজে অনেকের মধ্যে এমন ধারণা– এখন চাইলে যা ইচ্ছা তা করা যায়। পুলিশ তো শত্রু! তারা কিছু করতে পারবে না। ৫ আগস্টের পর এমন ধারণা তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে।’- সমকালকে কথা গুলো বলছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বাহারুল আলম। আইজিপি বলেন, এখনও পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। থানায় হামলা হচ্ছে। জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ১২, ফেব্রুয়ারিতে ২২ ও মার্চে ৪০টি।
সারাদেশে পুলিশের মামলার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৫৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৪৩০ এবং জানুয়ারিতে ১ হাজার ৪৪০টি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৩৭১ ও মার্চে ১ হাজার ৫০৯টি।
পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ‘আমরাই পারি’র প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক সমকালকে বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বা কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
আগস্টের পর জামিনে বেরিয়ে মুসা তার সঙ্গীদের নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে চাপাতি দিয়ে #কুপিয়ে মো. বাবু নামে এক যুবককে #হত্যা করেছে। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু #হত্যা #মামলার আসামি ছিলেন এই মুসা।
এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দীপু শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন। গত ১০ জানুয়ারি ইমন মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে এসে কম্পিউটার ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক ও ওয়াহিদুল হাসান দীপুকে মাল্টিপ্লানের এলোপাতাড়ি #কুপিয়ে আহত করে।
এছাড়াও, ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মিরপুরের আব্বাস আলী, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। অভিযোগ আছে, কারাগারে থেকেও নানা কৌশলে তারা অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন। ধারণা করা হয়, ৫ আগস্টের পর কুখ্যাত #সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দিয়ে #মামলা খালাস করার পরপরই দেশে অপরাধযজ্ঞ, সন্ত্রাসবাদ আরও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়।
বিজু উৎসব উদযাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সাত দিন পর গত বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে সারাদেশে অপহরণের ঘটনা ঘটে ১০৫টি, ফেব্রুয়ারিতে ৭৮টি এবং মার্চে ৮৩টি। ২০২৪ সালের একই সময়ে অপহরণের ঘটনা ছিল যথাক্রমে ৫১, ৪৩ ও ৫১টি।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনে পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ আজ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য। জনবল না থাকায় এবং অবৈধ দখলদারদের প্ররোচনায় জনগণ আজ তাদেরই পরম বন্ধু পুলিশকেই শত্রু ভাবছে, তাদের উপর করছে আক্রমণ। এর বাইরেও দখলদার ইউনুসের উদ্যোগে দাগী #সন্ত্রাসীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে জিম্মি করে ফেলেছে বাংলাদেশ পুলিশকেই।সূত্র: আওয়ামীলীগ পেইজ।