মিথ্যাবাদী ইউনুস:
‘একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।’- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫)
আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে।
চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ:
প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা যায় আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের দুর্নীতির পরিমাণ তিনশত কোটিরও বেশি এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও’র দুর্নীতিও শত কোটি টাকা। এদের ইতোমধ্যে নানা নাটকীয়তা আর ডিফেন্ড করার পর পদ থেকে সরানো হয়েছে। আসিফের এপিএস মোয়াজ্জেমের অব্যাহতি যদিও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দাবি করেছে আসিফ কিন্তু এরপরে আবার সেই আসিফ মাহমুদই তার চাকরির চেষ্টায় স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়া নিষ্পাপ এপিএস এর বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের নাটকীয় আহবান জানিয়েছে। যদিও এত নাটকের পর স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের সত্যতা যে থাকবেই না তা দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে আচ করা যায়।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত’ বলে ‘দায়মুক্তি’ দিয়েছেন।
(অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত: দুদক চেয়ারম্যান, কালের কণ্ঠ অনলাইন, ২১ এপ্রিল ২০২৫)
সম্প্রতি আসিফের বাবার একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স নেয়ার কথা জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে জনগণের সামনে ক্ষমা চায় আসিফ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি):
‘কোটা না মেধা’র নামে কোটায় প্রিলিভিলেজে রেল সহ বিভিন্ন সরকারি কাজে নিয়োগ হয়েছে এনসিপির ছাত্রনেতা নামধারী কিছু কুচক্রীদের। জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনএসপি)’র যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দিন তানভীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্য ও ডিসি নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে বলে তাকে দল থেকে ‘সাময়িক’ অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু অথর্ব ইউনুস কাতারে গিয়ে মিথ্যাচার করলেও এনএসপির এই লেবাস ধারী শয়তানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অপরাধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয় নাই।
এরপর আসি রেল নিয়েঃ
‘রেলকে একটি লাভজনক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত’ করার কাজে সহযোগিতা করতে ‘দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সক্রিয় কর্মীকে। এই ছাত্ররা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। (‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত ছাত্র আন্দোলনের তিনজন’, জাগোনিউজ২৪ডটকম, ২৩ এপ্রিল ২০২৫)
মাহবুব কবির মিলন তাঁর ফেসবুক পোস্টে ওই তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি–বাণিজ্য ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করেন। ছাত্রদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘রেল ভবনে এদের অবাধ বিচরণ। অবাধ বাণিজ্য। সারা দেশের কর্মচারী–কর্মকর্তাদের কাছে ত্রাস এরা তিনজন। মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা এদের দেখলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সমীহ করে।…’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি কারিগরি ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদের ‘দায়িত্ব’ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠল। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলোর ব্যাপারে কি কোনো তদন্ত হবে?
(সংস্কার আর দুর্নীতি কি একসঙ্গে চলতে পারে- প্রথম আলো ২৬ এপ্রিল ২০২৪)
এত ঘটনার পরে ইউনুস কাতারে গিয়ে যে মিথ্যাচার করলো এটাও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের সামিল। কারণ এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ইউনুস তার উপদেষ্টা পরিষদকে আরও উস্কে দিলো। এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংকের সরকারী অংশীদারিত্ব কমিয়ে ১০% এ আনাও সরকার প্রধান হিসেবে ইউনুসের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। ইউনুসের দুর্নীতির মামলাগুলো থেকেও অব্যাহতি নেয়া নিয়েও দেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এভাবে আন্দোলনের নামে লাশের পর লাশ ফেলে দেশের প্রতিটি জায়গায় দুর্নীতিবাজদের নিয়োগ দিয়ে, নিজে দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে মিথ্যাচার করে দেশকে কতদিন শোষণ করবে ইউনুস?