স্পেন ও পর্তুগালে তীব্র বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এতে দেশ দুটির গণপরিবহনব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে, সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট। সোমবার দিনের শুরুতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয় বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়।
বিদ্যুৎ সেবাদাতা সংস্থাগুলো গ্রিড পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। স্পেনের জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান রেড ইলেকট্রিকা জানিয়েছে, বিভ্রাটের সুনির্দিষ্ট কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি সাইবার হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে সমস্যার উৎস এখনও পুরোপুরি শনাক্ত হয়নি।
বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাসপাতাল, পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। মেট্রো রেল ও লিফটে আটকা পড়েছেন অনেক মানুষ। ট্রাফিক সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে শত শত মানুষকে অফিস ভবনের বাইরে সড়কে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোর আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছে এবং যানবাহনের আলো জ্বালিয়ে টহল দিচ্ছে। বিদ্যুৎবিভ্রাটের ফলে স্পেনের একটি ট্রেন মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। ফ্লাইট চলাচলেও বিলম্ব হয়েছে।
স্পেন ও পর্তুগালের সরকার বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছে। ফ্রান্সের কিছু অংশেও সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা গেছে বলে জানায় সূত্রগুলো।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্পেনে একটি সংকট ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন এবং বলেন, “সরকার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের উৎস ও প্রভাব নির্ধারণে কাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।”
রেড ইলেকট্রিকা জানিয়েছে, তারা আঞ্চলিক বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে কাজ করছে। অন্যদিকে পর্তুগালের বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান আরএইএন জানায়, তারা ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।