সমগ্র বাংলাদেশ এখন একটি বিস্তীর্ণ গণকবরে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০টিরও বেশি মানুষ #খুন হচ্ছে। শুধু মার্চ মাসেই ৩১৬টি #হত্যাকাণ্ড। শত শত অজ্ঞাত লাশ পড়ে থাকে রাস্তায়, নালায়, পরিত্যক্ত ঘরে। আর এই রক্তের খেলায় নীরব, ঠাণ্ডা নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে এক বিকৃত, লোভী, বেহায়া প্রতারক—মুহাম্মদ ইউনুস।
এই দেশের মানুষের ঘামে, রক্তে, #লাশে পা রেখে ইউনুস এখন “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার” নামের একটা প্রহসনের নায়ক হতে চায়। অথচ বাস্তবে সে এই হত্যার রাজনীতির কারিগর, সহিংসতার কুশীলব, #দখলদারির মূর্ত প্রতীক। ইউনুস এবং তার ভাড়াটে দালালরা এই রাষ্ট্রকে ভেঙে টুকরো করে নিজেদের মত করে সাজাতে চায়। এক নতুন “খুল্লামখুল্লা দখলতন্ত্র” চালু করতে তারা পিছনে ফেলে গেছে শুধু পচা রক্তের গন্ধ আর হাহাকার।
ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ তুচ্ছ ঘটনায় #খুন হলো, চট্টগ্রামে #ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে জীবন দিল এক যুবক, খুলনায় আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে রক্তাক্ত হলো পরিবার। এইসব ঘটনার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইউনুসের বীজ। এই হত্যার সিঁড়ি বেয়েই সে উঠে আসতে চায় ক্ষমতার শীর্ষে। কিন্তু এই দেশ ওর বাবার সম্পত্তি নয়—এটা আমরা ভুলে যাইনি।
ইউনুস এমন এক ভণ্ড, যে শান্তির মুখোশ পরে ছুরি চালায় পেছন থেকে। সে এমন এক সুবিধাবাদী, যে বিদেশি প্রভুদের পা চাটে আর দেশে আগুন লাগিয়ে চলে বেড়ায় ফ্রেমে ফ্রেমে ছবি তুলে। তার স্বপ্ন? গদি। তার পথ? লাশ। তার ভাষা? ষড়যন্ত্র।
এখনও যদি কেউ বলে, ইউনুস নিরপেক্ষ—তাহলে তাকে একবার দেশের প্রতিটি থানায় গিয়ে দেখতে বলুন, কত মানুষ খুন হয়েছে এই দুই মাসে। রক্তে রঞ্জিত এই ভূমি এখন চিৎকার করে বলছে—এই হত্যার নির্দেশ, এই বিশৃঙ্খলার ছক, এই অরাজকতার মূল গডফাদার ইউনুস।
সে শুধু রাজনীতির দখল চায় না, চায় রাষ্ট্রকাঠামোর দেহে ছুরি চালাতে। আজকে সে মিডিয়া কিনে নেয়, কাল সে বিচারব্যবস্থা হাইজ্যাক করবে, পরশু সে সেনা ছাউনিতে ঢুকতে চাইবে। তার থামার ইচ্ছা নেই—কারণ সে জানে, থামলেই মুখোশ খুলে পড়বে।
একটাই প্রশ্ন—কত লাশের পরে এই দেশ ঘুম ভাঙাবে? এই রক্তপিশাচের মুখোশ কবে টেনে ছিঁড়বে?