বাংলাদেশে বিচারের নামে এখন যা চলছে, তাকে আর বিচারব্যবস্থা বলা যায় না। আদালতের নাম ব্যবহার করে যা করা হচ্ছে, তা মূলত রাজনৈতিক প্রতিশোধ। স্বৈরাচার ইউনুসের নেতৃত্বে যে শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, তা আমার পরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পত্তিগুলোর পেছনে লেগেছে—কোনো অভিযোগ, প্রমাণ, বিচার কিংবা রায় ছাড়াই।
এই তালিকায় আছে ‘সুধা সদন’—আমার বাবার হাতে গড়া সেই বাড়ি, যা এই সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের হাতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। আরও আছে ঢাকার বাইরের জমিজমা, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের পরিবারের হেফাজতে ছিল।
এই পুরো প্রক্রিয়ায় আইনের শাসনের বিন্দুমাত্র কোনো উপস্থিতি নেই। দুর্নীতির কোনো প্রমাণ নেই, নেই কোনো মামলার রায়, এমনকি কোনো অভিযোগও আনুষ্ঠানিকভাবে আনা হয়নি। তবু সম্পত্তি জব্দের নামে যা হচ্ছে, তা একটি পরিবার নয়—বরং সম্পূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থাকে স্থায়ীভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা।
শুধু আমাদের বিরুদ্ধে নয়, এটা একটি নজির গড়ে দিচ্ছে—যেখানে ভবিষ্যতের যে কোনো সরকার যেকোনো নাগরিকের সম্পত্তি, এমনকি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পত্তিও কেড়ে নিতে পারে। বাংলাদেশে কেউই নিরাপদ নয়— না বিচারক, না আইনজীবী, না সাধারণ মানুষ।