গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সুচিকিৎসার জন্য গতরাতে থাইল্যান্ডে গেছেন। তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন। এখন উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের লক্ষে তিনি থাইল্যান্ডে গেছেন। তিনি যথাযথভাবে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশ ছেড়েছেন। অথচ দেশের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া নব্য ধারার অর্বাচীনেরা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রাজ্ঞ ও প্রবীণ রাজনৈতিক আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে। তিনি যেহেতু ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশ ছেড়েছেন সেহেতু তাঁর পালানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং এ ধরনের মন্তব্য বাতুলতা মাত্র। অন্যদিকে এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না এবং কোনো সংস্থার নিকট কোনো অভিযোগও ছিল না। এমতাবস্থায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়া নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুৎসা রটিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
আব্দুল হামিদ দীর্ঘ ৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনীতিতে তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি তাঁর। তিনি ১৯৬৩ ও ১৯৬৫ সালে যথাক্রমে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ও ভিপি, ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ মহাকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। যৌবনের সুবর্ণময় দিনগুলোতে দেশমাতৃকার প্রতি আত্মনিবেদিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল আন্দোলন সংগ্রামে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর পর তিনি দীর্ঘ সময় ধরে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ভাটির শার্দুল খ্যাত আব্দুল হামিদ তাঁর রাজনৈতিক নীতি ও আদর্শ নিয়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মিশতেন ও সকল প্রজন্মের নিকট প্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। একইসাথে তিনি দলমত নির্বিশেষে একজন সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি একাধারে মহান জাতীয় সংসদের ৭ বারের নির্বাচিত সদস্য। আবার মহান জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
দীর্ঘ ৬০ বছরের অধিক রাজনৈতিক জীবনে তিনি যে সম্মান, খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তা আজকের অর্বাচীনদের নিকট কল্পনাতীত। অল্প কিছুদিন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর নিকটবর্তী হয়ে এসব নীতি-আদর্শহীন রাজনীতিজীবীরা আব্দুল হামিদের গণমুখী রাজনীতির ধারাকে ভয় পায়। জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এ ধরনের অপপ্রচার চালাবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে এবং তারাই পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।তাই আব্দুল হামিদের মতো বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তারিখ: ০৮ মে ২০২৫