গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামি লীগের ঠাঁই নাই শাহবাগে এই স্লোগান দেয়া হচ্ছে। আওয়ামি লীগের ঠাঁই নাই সেটা সমস্যা না। এই বাংলায় জামাত-বিএনপি ভিন্ন অন্য কারো ঠাঁই হবে না। এটা বহু আগে থেকে আমরা জানি। শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা হয়েছে এখন পর্যন্ত ১৯ বার। ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলাই একমাত্র নয়। খালেদাকে কয়বার হত্যার চেষ্টা করেছে আওয়ামি লীগ? জিরো।
জামায়াতে ইসলামি মুক্তিযুদ্ধের পরে ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির জিয়ার হাত ধরে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়। ইনফ্যাক্ট, এই লোক সেনাবাহিনী থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মেরে সাফ করে ফেলেন পাকিস্তান ফেরত অফিসারদের দৌরাত্ম্য প্রতিষ্ঠা করতে।
আওয়ামি লীগ ক্ষমতায় নাই সেটাও কোন সমস্যা না। একটা রাজনৈতিক দল কখনো ক্ষমতায় থাকবে, কখনো বিরোধী দলে সেটাই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তাদের ইয়াহিয়া খান নিষিদ্ধ করেছিল, এখন গোলাম আযমের উত্তরসূরিরা লীগকে নিষিদ্ধ করতে চাইতেছে। সেই সময়েও হিন্দু এবং আওয়ামি লীগ টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে, এবারেও তাই।
জুলাই-আগষ্টে যা হয়েছে পুরোটাই একটা দেশী চক্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। করিডোর দেয়া, দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া, চীন-মায়ানমার-ভারতকে একযোগে শত্রু বানিয়ে ফেলা এসব কিছু একটা সিগনেচার বহন করে।
সিগনেচারটা হচ্ছে বাংলাদেশের অস্তিত্ব যে দেশ এবং তাদের সহযোগীদের ললাটে পরাজয়ের কালিমা, আত্মসমর্পণের কলংক লেপে দিয়েছিল তার প্রতিশোধ নেয়া। সেটা একমাত্র করা যাবে যদি ঐ দেশটার অস্তিত্বই না থাকে। চীন-মায়ানমার-ভারতকে এক সাথে ক্রোধান্বিত করলে বাংলাদেশের অস্তিত্বের উপরে যে আঘাত আসবেই এটা তারা ভালো জানে।
আওয়ামি লীগের বাংলায় ঠাঁই না থাকলে কাজটা অনেক সোজা হয়ে যায়।