অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকারের ঘোষণায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ এ সিদ্ধান্তকে ‘গণবিচ্ছিন্ন ফ্যাসিস্ট সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যায়িত করে বলেছে, এটি দেশের ইতিহাসে একটি কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যে দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, সেই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে নির্বাসনে পাঠানো এবং স্বাধীনতাবিরোধী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উত্থানকে উৎসাহ দেওয়া। দলটি দাবি করে, এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে ইউনূস সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ইতিহাসকে অস্বীকার করে একটি অপশক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।
আওয়ামী লীগ জানায়, তারা এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে এবং দেশের মাটিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। দলটি বলে, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই ভূখণ্ডে ৭৬ বছরের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এ দল।”
বিবৃতিতে ইউনূস সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, তারা জনগণের ম্যান্ডেটহীনভাবে ক্ষমতা দখল করে ফ্যাসিবাদের রূপ ধারণ করেছে। একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং দমন-পীড়নের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও একটি বার্তা দেওয়া হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, “আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্বের রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন ইউনূস সরকারের এই অগণতান্ত্রিক, অবৈধ ও হীন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করেন।”
দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের হৃদয়ে লালিত অনুভূতির নাম। সেই অনুভূতির স্পন্দনেই একদিন এই স্বৈরাচারী সরকারের সকল অপচেষ্টা ভেসে যাবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জনগণ এই সিদ্ধান্তের উপযুক্ত জবাব দেবে।”
বিবৃতির শেষে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক স্লোগান দেওয়া হয়।