বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামিক জিহাদি #জঙ্গি কিংবা সামরিক বাহিনী থেকে অনেক অদক্ষ নেতা এসেছেন। কেউ কেউ ব্যর্থ হয়েছেন, কেউ কেউ দিশাহীন ছিলেন। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের সবার থেকে ভিন্ন—কারণ তিনি ব্যর্থতারও ব্যর্থ রূপ। এক কথায় : সুপার ফ্লপ।
নোবেল পাওয়ার ঢাল পিঠে বেঁধে যিনি দেশের নেতৃত্ব নিতে এসেছিলেন, তিনি ৯ মাসে প্রমাণ করেছেন—দেশ চালানো সেলফি তোলা না, আর অর্থনীতি চালানো গ্রামীণ মডেলের ভাষণ না। কেবল বিদেশ সফর আর ফাঁকা কথার ফুলঝুরি দিয়ে দেশ চলে না। এখন প্রশ্ন উঠছে—ড. ইউনূস নিজেই জানতেন না, নাকি জেনেও ছলনা করছিলেন?
দেশে #আগুন, আর ইউনূস বিদেশ ভ্রমণে মত্ত
এই ৯ মাসে দেশের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, বৈদেশিক ঋণের সংকট, প্রকল্প বাস্তবায়নে ভাঙন—সবকিছু যখন তলানিতে, তখন ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র, চীন, কাতার, থাইল্যান্ড সফরে ঘুরে ঘুরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে নিজের মুখ ফের ক্যামেরায় রাখার খেলায় ব্যস্ত ছিলেন। ফলাফল কী?
➤ ঋণ প্রতিশ্রুতি ধসের মুখে
➤ অর্থ ছাড় কমে গেছে
➤ উন্নয়ন থেমে আছে
➤ বিনিয়োগকারীরা পালাচ্ছে
এক কথায় : বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে অনুৎপাদনশীল, নিরুৎসাহী ও ‘ফাঁপা’ প্রশাসনের অধীনে চলছে।
নেতা না, একটা ‘পলিশড ফেইলিওর’
ড. ইউনূস হচ্ছেন সেই চরিত্র, যিনি কথার ফুলঝুরি দেন, কিন্তু বাস্তব সিদ্ধান্তে মুখ থুবড়ে পড়েন। বিদেশিদের কাছে ভালো সাজতে গিয়ে দেশি বাস্তবতা ভুলে গেছেন। দাতারা এখন বুঝে ফেলেছে—এই সরকার কোনো গভীরতা নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই, শুধু কসমেটিক্স।
দেশের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ ২ লাখ কোটির ওপরে বরাদ্দ পড়ে আছে। এই লজ্জা কি কেউ গায়ে মাখে? ইউনূস সরকার তো যেন ‘যা হবার হোক’ নীতিতে চলছে। তিনি ভাবছেন, কেউ বুঝবে না, তিনি কীভাবে এক ব্যর্থতার বুদবুদের ভেতরে নিজেকে জাহির করছেন।
নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে উন্নয়ন সহযোগীদের দোষ চাপানো হচ্ছে
যখন কিছুই কাজ করে না, তখন শুরু হয় নাটক। এবারও তাই। এখন বলা হচ্ছে—দাতারা অর্থ ছাড় দিচ্ছে না কারণ তারা ‘স্থিতিশীলতা চায়’। এই কথার মানে দাঁড়ায়—আপনার অধীনে দেশে স্থিতিশীলতা নেই। তাহলে প্রশ্ন: আপনি ক্ষমতায় কেন?
বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ—সবাই দূরে সরে গেছে। তারা বুঝে গেছে, এ সরকার শুধু সময়ক্ষেপণ করছে। অথচ দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়ে গেছে—জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে ঋণের বোঝা, অথচ উন্নয়ন শূন্য।
সত্যি কথা হলো—ইউনূস একজন কাগুজে নেতা
তিনি জাতিকে উন্নয়ন দিতে পারেননি, দেননি। তিনি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ব্যর্থ। তিনি প্রশাসনকে দিশা দিতে পারেননি। বরং তার সবচেয়ে বড় ‘সাফল্য’ হলো নিজের আন্তর্জাতিক ইমেজকে টিকিয়ে রাখার জন্য দেশের অর্থনীতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা বিকিয়ে দেওয়া।
এই লোককে ইতিহাসে লেখা হবে এক ভয়াবহ “হাইপড ফেইলিওর” হিসেবে—যিনি মনে করেছিলেন ‘নোবেল’ থাকলেই দেশ চালানো যাবে। অথচ বাস্তবতা হলো, তিনি নোবেলজয়ী ব্যর্থতার এক জীবন্ত উদাহরণ।
‘সুপার ফ্লপ’ এই অধ্যায় যত তাড়াতাড়ি শেষ হয়, ততই দেশের মঙ্গল
ড. ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ স্থবিরতার চক্রে আটকে গেছে। এই লোক জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে দুঃস্বপ্নে ঠেলে দিয়েছে। মুখোশ আজ খুলে গেছে—বাকি শুধু স্বীকার করে নেওয়া যে, এই সরকার দেশের সর্বনাশ করছে। এখন আর কোনো বাহানা চলে না। এই ‘সুপার ফ্লপ’ সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন উন্নয়নের দরজা বন্ধই থাকবে।