ধারাবাহিক মিথ্যাচারের কারণে নাগরিকদের হাস্যরসের বস্তুতে পরিণত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইংয়। যার দ্বায়িতে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর যমুনা সরকারি বাসভবনে তিনি বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। বৈঠকের আলোচনার মূল বিষয় ‘মানবিক করিডোর’ ইস্যু এবং মার্কিন দুই বাহিনীর বাংলাদেশ সফর হলেও ড. ইউনূসের প্রেস উইং থেকে জানানো হয় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানদের সঙ্গে।
যমুনায় হয়ে যাওয়া ওই বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খানসহ আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন কেনো উপস্থিত ছিলেন এমন প্রশ্নের মুখোমুখিও হয়েছেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈঠকে সীমান্ত বিষয়ক আলোচনার থাকার কারনেই উপস্থিত ছিলেন। মো. তৌহিদ হোসেনের এমন বক্তব্য মিথ্যা প্রতীয়মান করেছে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইংয়ের বক্তব্যকে। পরে এই উপদেষ্টাকে করিডোর ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা একটি সামগ্রিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টা দেশব্যাপী স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
যদিও বৈঠকের পরে একাধিক অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছিল, বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল রাখাইনে সহায়তার জন্য মানবিক করিডোর এবং তাতে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মতি আদায়ের চেষ্টা। অথচ প্রেস উইং থেকে ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ পর্যালোচনার কথা বলে এক ধরনের বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিতর্ক।