একটা সময় ছিল, বাংলাদেশ মানে ছিল আত্মবিশ্বাস। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা এক জাতি, যাদের নেত্রী শেখ হাসিনা চোখে চোখ রেখে বিশ্বকে দেখাতেন—এই আমরা, আমরা পারি। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, একের পর এক অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন—সবকিছুর মধ্যে ছিল একটা স্পষ্ট ছন্দ। উন্নয়নের। আগুন ছুঁয়ে ফেলা অদম্য অগ্রগতির।
তারপর, ঠিক যেন কোন ঘুমভাঙা দুঃস্বপ্নের মতো—মঞ্চে এলো মোহাম্মদ ইউনুস। শান্তির পুরস্কারের মোড়কে মোড়ানো এক ক্ষমতালোভী মুখ, যে কিনা জনগণের ভোটে নয়, অদৃশ্য দরজার চাবি ঘুরিয়ে উঠে এলো সিংহাসনে।
সিংহাসনে উঠে এসে কী করলো সে?
দেশ চালানোটা যেন এক্সেল শিটের বাজেট হিসাব। মানুষ নয়, যেন কেবল সংখ্যার খেলা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেতন আটকে গেলো, কৃষকদের ভর্তুকি কেটে নেওয়া হলো, শিক্ষার্থীদের উপর চাপানো হলো করের বোঝা। বাজারে আগুন, কিন্তু সরকারের গায়ে জল নেই।
জনসংযোগ? শুনলে মনে হয়—লোকজন যেন এ দেশের নাগরিক না, কেউ একটা ‘ডাটা পয়েন্ট’।
ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে চাপানো হলো এমন শর্ত, যা তাদের দম বন্ধ করে দেয়। বিদেশি বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নেয়। দেশি উদ্যোক্তারা ছুটে বেড়ায় বিদেশি ভিসার পেছনে। গ্রামে গঞ্জে ক্ষোভ জমে, শহরে নেমে আসে অনিশ্চয়তা।
শেখ হাসিনা দেশটা যেভাবে গড়ে তুলেছিলেন, ধাপে ধাপে, নিজের পরিশ্রম-মনযোগ-সময় দিয়ে—তার কিছুই যেন আর বাকি নেই। ইউনুস এসে যেন একটা দাগ ঘষে দিলো সেই ছবির ওপর।
এই মানুষটার মুখে যতই শান্তির বুলি থাকুক না কেন, বাস্তবটা হাড়হিম করা। প্রশাসন এখন বেসামাল। মানুষের মুখে হাসি নেই, চোখে স্বপ্ন নেই। আছে শুধু এক চাপা আতঙ্ক—আর কতটা খারাপ হতে পারে?
মোহাম্মদ ইউনুসের সরকার বলেই কিছু নেই, আছে শুধু অস্থিরতা, দিশেহারা সিদ্ধান্ত আর এক অদ্ভুত নিষ্ঠুর উদাসীনতা।
এই সরকার যেন জনগণকে শত্রু ভেবে শাসন করছে।
একটা কথা পরিষ্কার—দেশটা এখন আর জনগণের হাতে নেই।
যা শেখ হাসিনা বানিয়েছিলেন, তা মোহাম্মদ ইউনুস গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন চোখের সামনেই।
দিনকে দিন। ধাপে ধাপে। নির্বিকারভাবে।
এটাই কি চেয়েছিল এই দেশের মানুষ?
– না।
কিন্তু এখন তারা দেখছে—একটা সুন্দর দেশ কীভাবে ধ্বংস হয়ে যায় একজন ভুল মানুষ, একটামাত্র ভুল সিদ্ধান্ত আর অসহিষ্ণু ক্ষমতালিপ্সার কারণে।
ইতিহাস তার জবাব চাইবেই।
কিন্তু ভয় হচ্ছে, তখন পর্যন্ত কিছু অবশিষ্ট থাকবে তো?