চিহ্নিত মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী এটিএম আজাহারুল ইসলামকে আপিল বিভাগ খালাস প্রদান করায় সমগ্র বাংলাদেশ স্তম্ভিত। আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে চরম কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ন্যক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো বিগত বছরের ৫ আগস্টে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত নির্বাচিত সরকারকে জোরপূর্বক উৎখাত করেছিল দেশবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। আর দেশবিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারার প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামাত। সেই কারণে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করে জামাতের প্রতি পুরস্কারস্বরূপ চিহ্নিত মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতা এটিএম আজাহারুল ইসলামকে খালাস প্রদান করেছে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সকল সাক্ষ্য-প্রমাণের পূঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছিল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। অথচ আজ বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে দেশবিরোধী অপশক্তির প্রতিভূ ফ্যাসিস্ট ইউনূস সকল যুক্তি-তর্ক ও প্রমাণকে ছুঁড়ে ফেলে এই খালাসের রায় দিয়েছে।
আজ বাংলাদেশে বিচারের নামে প্রহসন চলছে। বিচার বিভাগ শুধু স্বেচ্ছাচারী অবৈধ দখলদার সরকারেরই আজ্ঞাবহ নয়, মবসন্ত্রাসের আজ্ঞাবহ। বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার বিশুদ্ধ জায়গা হলেও আজ বাংলাদেশে তা সার্কাসে পরিণত হয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের বিরোধিতা করে ইতিহাসের গায়ে কলঙ্ক লেপনকারী মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী খালাস পায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের দায়মোচনের অঙ্গীকার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার রাজনীতির ধারক জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দদের বিরুদ্ধে এই অবৈধ সরকারের প্রত্যক্ষ প্রযোজনায় মিথ্যা ও প্রহসনমূলক বিচার পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, স্বাধীন বাংলাদেশের বাতাসে নিঃশ্বাস গ্রহণ করা দেশপ্রেমিক নাগরিক কখনোই মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম অবজ্ঞা ও মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি কোনো সমর্থনকে মেনে নেবে না। আজকে বিচার বিভাগ এটিএম আজাহারুল ইসলামকে খালাস প্রদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুনভাবে পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতির যে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে তাও বরদাস্ত করবে না। একইসাথে আমরা আরও বিশ্বাস করি, দেশপ্রেমিক জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিরাম লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে দেশবিরোধী এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।