অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে। এই অবৈধ সরকারের লাগাতার ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড ও মনোবৃত্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে একের পর এক স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে চলেছে। ম্যাটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর ফ্যাসিস্ট ইউনূসই বলেছিলেন যে, রিসেট বাটনে প্রেস করা হয়ে গেছে। অর্থাৎ অতীতের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্জনসহ সবকিছু ফ্ল্যাশ করে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে তারা সমগ্র জাতিকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে ও বুঝতে বাধ্য করার অপচেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় যে কোনো জায়গায় কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, বাকস্বাধীনতার কথা বলে তার উপর নেমে আসে অত্যাচার-নির্যাতনের খড়গ। গণমাধ্যমকে পরিণত করা হয় ইউনূস বন্দনার মাধ্যম। বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে মব সৃষ্টি করে ও সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করে এক ভয়ের রাজত্ব তৈরি করা হয়। গণমাধ্যম জনমত সৃষ্টি করবে বা তুলে ধরবে তো দূরের কথা, নিজেদের মত বা কণ্ঠস্বর তুলে ধরার কথাই ভুলে গেছে। শুধু ফ্যাসিস্ট এই সরকারের প্রেসক্রাইব ও অনুমোদন দেওয়া সংবাদই প্রকাশ হয়। এর বাইরে কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে বা করতে চাইলে ঐ মিডিয়া হাউজ বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মবসন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়। তাই সাংবাদিকরা বাধ্য হয়ে সেল্ফসেন্সরশিপের সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছেন। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই ছিল অল্টারনেটিভ ভয়েস। অথচ এই ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তার পরও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের অধিকার আদায়ের অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অদম্য সাহস ও শক্তির সাথে না পেরে এবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে। আমরা এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে দলটির আত্মার সম্পর্ক। কোনো উপায়ে এই সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটানো সম্ভব নয়। বাংলার জনগণ যে কোনো প্রতিকূল অবস্থায় বার বার তাদের আস্থার সংগঠন আওয়ামী লীগের কাছে আসবে এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগ সামনে দিকে এগিয়ে যাবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়েই আমরা এই ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের সকল অপতৎপরতা রুখতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।তারিখ: ৩০ মে ২০২৫