বাংলাদেশের জনগণ ইতিমধ্যেই বুঝে গেছে যে, অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ও জঙ্গি ইউনূস সরকারকে কখনো বাংলাদেশ পন্থী না। তারা দেশবিরোধী প্রকল্প বাস্তবায়নে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিপুষ্ট স্বাধীনতাবিরোধী শিবিরের প্রতিভূ। পাকিস্তান ভিত্তিক উগ্র-জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর সহায়তায় ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর পাঁয়তারায় তারা লিপ্ত। ফলে, অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলের পর থেকেই বাংলাদেশ জন্মের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার অপচেষ্টা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এইচ এম কামরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করেছে। আমরা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের অবৈধ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে এই সিদ্ধান্ত ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে বাঙালি জাতিসত্তার বিনির্মাণ এবং বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বপ্ন সাধ ও বহু আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার অর্জনের অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতীয় ৪ নেতাসহ এই ৪শতাধিক নেতারা ছিল সেই রাজনৈতিক ধারায় বঙ্গবন্ধুর সহযোগী। তাই অবৈধ সরকারের এই অযাচিত ও অর্বাচীন সিদ্ধান্তই বাঙালির জাতিসত্তার ভিত্তিমূলে আঘাত। এটা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃতিই শুধু না, বরং সমগ্র জাতিকে ইতিহাস বিস্মৃতির অতল গহ্বরে ঠেলে দেওয়ার অপতৎপরতা। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও জাতিসত্তার বিনির্মাণ ও স্বাধীনতা অর্জন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া হয় নাই এবং সেটা সম্ভবও না। তাই যারা স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষে বাঙালি অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রামকে মহান মুক্তিযুদ্ধ রূপ দিল, তাঁরা শুধু মুক্তিযোদ্ধাই না বরং স্বাধীনতার রূপকার। আর সমগ্র বাঙালি জাতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুকুটহীন সম্রাটের আসনে অধিষ্ঠিত করে রেখেছে। সেক্ষেত্রে মুকুটহীন সম্রাটের মুকুটের পালক তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই অবৈধ দখলদার সরকারের এই অবৈধ সিদ্ধান্ত শুধু কাগজেই থেকে যাবে। সুমহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক জনগণ কখনোই পাকিস্তানের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশকে পরিচালনার অংশ হিসেবে এবং গভীর ষড়যন্ত্র থেকে উৎসারিত এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমে এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।