বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক অধ্যায়ের সূচনা হলো ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাত ধরে। এই সরকার রাষ্ট্রপতির আদেশে যে অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ শত শত ১৯৭০ সালের নির্বাচিত রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করেছে, তা ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, জাতির সঙ্গে প্রতারণা, এবং শহীদের রক্তের প্রতি চরম অবমাননার নামান্তর।
আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি। এটি কোনো প্রশাসনিক ‘ব্যত্যয়’ নয় এটি একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, যার লক্ষ্য বাংলাদেশকে তার শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা এবং পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা।
*ড. ইউনুসের মুখোশ খুলে গেছে*
যিনি বিদেশি চক্রের মদদে ক্ষমতার সিঁড়িতে উঠেছেন, যিনি সেনা-পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের রাজনীতিকে চরম বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিয়েছেন আজ তার সরকারের হাতে জাতির ইতিহাস অপবিত্র হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর নাম কলঙ্কিত হচ্ছে, শহীদদের আত্মা আহত হচ্ছে।
ড. ইউনুস ক্ষমতায় এসেই তার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুকে মানেন না, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকে মানেন না, আর বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্বকে মর্যাদা দেন না। এটাই তার নীরব ‘পাকিস্তানি স্বপ্ন’, যা আজ প্রশাসনিক আদেশে রূপ পেয়েছে।
*ইতিহাসের আদালতে ইউনুস সরকার অপরাধী*
এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। আমরা দৃপ্ত কণ্ঠে বলি
এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
ড. ইউনুস সরকার ইতিহাস বিকৃতির দায়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
এবং এই ষড়যন্ত্রে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
জাতি কখনোই ভুলবে না, কে মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করেছে আর কে তাকে অপমান করেছে।
বঙ্গবন্ধুর নাম কোনো কাগজে নয়—তিনি মুজিব, তিনি ইতিহাস, তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের অস্তিত্বে মিশে আছেন। তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা বলে স্বীকৃতি দেওয়া হোক বা না হোক, তিনি এই দেশের চিরস্থায়ী জাতির পিতা, চিরকালীন সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধা।
ড. ইউনুস এবং তার ইতিহাসবিদ্বেষী সরকার যদি মনে করে কাগজে-কলমে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে পারবে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।
আমরা এই রাষ্ট্রদ্রোহী, জাতিঘাতী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। ইউনুস সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই তোমরা ইতিহাস লিখতে পারো না, তোমরা শুধু ইতিহাসের আসামি হতে পারো।