“আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে।”
এই বাক্যটি এখন আর কোনো আবেগনির্ভর প্রতিক্রিয়া নয় এটা বাস্তবতার নগ্ন স্বীকারোক্তি।
আমরা যারা এদেশকে ভালোবাসি, যাদের শিকড় এই মাটিতে, তাদের জন্য আজকের বাংলাদেশ এক অচেনা উপাখ্যান।
একদিন হঠাৎ টের পেলাম এই দেশটা আর আমাদের নেই।
আমাদের চোখের সামনেই বদলে গেছে সবকিছু নীতিনৈতিকতা, প্রশাসন, বিচার, শিক্ষা, গণমাধ্যম, এমনকি মানুষের চিন্তাভাবনাও।
কিন্তু আমরা বুঝতেই পারিনি কখন এই দেশ হাতছাড়া হয়ে গেছে।
আজ আমাদের চিন্তাটাও আমাদের নয়।
আমাদের স্বপ্ন, আমাদের আকাঙ্ক্ষা, আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সবই নিয়ন্ত্রিত হয় এমন এক অদৃশ্য শক্তির দ্বারা যারা আমাদের হয়ে কথা বলে, কিন্তু আমাদের কণ্ঠ নয়।
তারা আমাদের হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু আমাদের জীবনের কোনো দায় নেয় না।
“আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে,”
কারণ যারা এখন দেশ চালাচ্ছে,
তারা আমাদের কথা শোনে না।
তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি, কিন্তু অন্তরে লুটপাটের নেশা।
তারা আমাদের মতো মানুষ নয় তারা বিশেষ গোষ্ঠী, যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজেদের সম্পদ বাড়ায়, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে, আর সাধারণ মানুষের জীবনকে করে তুলে দুর্বিষহ।
আজকের বাংলাদেশ বিদেশি এজেন্ডা, এনজিও-চালিত মতবাদ, কর্পোরেট লুটপাট আর কিছু সুবিধাভোগী বুদ্ধিজীবীর পৃষ্ঠপোষকতায় এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে এগোচ্ছে।
এই দেশটা এখন আর জনগণের রাষ্ট্র নয় এটা এখন অপশক্তির খেলার মাঠ।
আমরা যারা সাধারণ মানুষ আমরা আজ নিরব।
আমরা দেখি, বুঝি, কাঁদি কিন্তু কিছু বলি না।
আমরা রাস্তায় নামি না, প্রশ্ন করি না, প্রতিবাদ করি না।
আমরা নিজেদের অসহায় মনে করি, কারণ আমাদের কণ্ঠ কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আমাদের মন ভীত করে রাখা হয়েছে।
কিন্তু মনে রাখতে হবে সর্বনাশ কখনও চূড়ান্ত নয়, যদি আমরা জেগে উঠি।
এই দেশ আবার আমাদের হতে পারে যদি আমরা প্রশ্ন করি, সাহস করি, ঐক্যবদ্ধ হই।
“দেশটা আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে শুধু জেগে উঠো, দাঁড়াও, কথা বলো।”
(আওয়ামীলীগ পেইজ থেকে)