বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদানের নামে মিথ্যার ফুলঝুরি নিয়ে বসেছিল। সে যেভাবে একের পর এক মিথ্যার বেসাতি করে যাচ্ছে চরমভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। নিজের চরম ব্যর্থতা ঢাকতে সর্বত্র ভূত দেখছে এবং ব্যর্থতার দায়ভার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে। অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসরমান ও শান্তিপূর্ণ একটা দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা অসাংবিধানিকভাবে দখল করে সেটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত ছিল। সেই বাংলাদেশ আজ অশান্তি ও অনিশ্চয়তার মডেলে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট ইউনূসের বক্তব্যের সঙ্গে জনগণের যাপিত জীবনের বিস্তর ফারাক। তার পরও একটা মানুষ কতটা কপট হলে এ রকম নির্জলা মিথ্যা বলে যেতে পারে?
অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে ফেলছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সবখাতের জন্য বরাদ্দ রাখা ছিল। অথচ এই অবৈধ দখলদারদের অব্যবস্থাপনা ও চরম দুর্নীতির কারণে লেজে গোবরে অবস্থা বানিয়ে ফেলে। দুর্নীতির কারণে কোনো খাতেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জন করতে পারেনি। কোনো লোন পরিশোধ করে নাই। বরং বকেয়া অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ শূন্যের কোঠায়। ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। হাজার হাজার শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। একদিকে আমরা দেখছি মানুষের কর্মসংস্থান নেই, তাদের জীবন ও জীবিকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অন্যদিকে এই অবৈধ সরকারের মদদপুষ্ট একটা শ্রেণি রাতারাতি শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। জনকল্যাণ না বুঝলেও ব্যবসা ভালো বোঝা স্বার্থলোভী ফ্যাসিস্ট ইউনূস নিজেই ৬৬৬ কোটি টাকার কর মওকুফ করিয়ে নিয়েছে। নিজের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককে ৫ বছরের কর অব্যাহতি প্রদান করেছে। নিজে কর ফাঁকি দিয়ে অন্যদিকে জনগণের উপর বাড়তি করের বোঝা চাপাচ্ছে। লাগামহীন দুর্নীতির কারণে জনকল্যাণমুখী কোনো বাজেট দিতে পারে নাই। গত বছরের তুলনায় বাজেটের আকার কমিয়েছে। অর্থাৎ তারা নিজেদের গোষ্ঠীতন্ত্র ও তাদের দোসরদের পরিপুষ্ট করতে গিয়ে জনগণের জন্য অবশিষ্ট কিছু রাখে নাই।
প্রিয় দেশবাসী, জনগণই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। আপনাদের প্রতিই আমাদের যতো আবেদন-নিবেদন। আপনারা একটু গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে, এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের প্রতি জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। তাই জনগণের প্রতিও এদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এদের দায়বদ্ধতা বিদেশি প্রভুদের প্রতি এবং তাদের খুশি করার জন্য এরা যেসব কাজ করবে ভুলিয়ে-ভালিয়ে আপনাদের কাছ থেকে সেসব কাজের এক ধরনের অনুমোদন নেওয়ার অপচেষ্টা করবে। দেশের উন্নয়নের কথা শুনিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনা বিদেশি প্রভুদের স্বার্থে তাদের হাতে তুলে দেবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, পৃথিবীর দেশে দেশে এমনটাই ঘটেছে এবং তার বিবরণ জন পার্কিংসের ‘অর্থনৈতিক বিশ্বাসঘাতকের স্বীকারোক্তি’ বইতে তুলে ধরা হয়েছে। এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারও আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিকে বিদেশিদের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করছে। এই অবৈধ সরকারের অধিকাংশই বিদেশি পাসপোর্টধারী। নির্দিষ্ট সময় পর এরা বিদেশেই পাড়ি জমাবে। আর এই সময়ের ব্যবধানে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে আমাদের স্বদেশভূমি। যে ভূমিতেই রোপিত আমাদের ভবিষ্যতের বীজ। আমাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষায় আমাদের এখনই সোচ্চার হতে হবে। এই শকুনদের কুনজর থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে দেশপ্রেমিক সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি এই লড়াই চালিয়ে যেতে সক্ষম হই তাহলে দেশবিরোধী এই অশুভ শক্তিকে আমরা পরাজিত করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।