এক।অধ্যাদেশের ১০ নম্বর ধারায় প্রবাসী মুজিব নগর সরকারকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়েছে। তারমানে এই সরকারের সাথে জড়িত সকলকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দিন, মনসুর আলী, কামরুজ্জামানসহ সকলেই মুক্তিযোদ্ধা।
অধ্যাদেশের ১৫(গ) ধারায় প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের সাথে সংযুক্ত সকল এম এন এ এবং এম পি এ-কে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী মেম্বার অফ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বেলির সকল সদস্য- বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দিন, মনসুর আলী, কামরুজ্জামানসহ সকলে যারা গণপরিষদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছেন পরবর্তী সময়ে, তারা সকলে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী।
প্রশ্ন হলো, কারা বানিয়েছেন এই অধ্যাদেশ? তারা এসে ব্যাখ্যাটা দিন যে একই অধ্যাদেশের দুই ধারায় সম্পূর্ণ ভিন্ন দু’টি সংজ্ঞা কেন? কোন সংজ্ঞা গ্রহণ করা হবে?
দুই। দেশের সাংবাদিকদের উপর আমি অনেক সময়েই বিরক্ত হই। হ্যাঁ, তাদের উচিত ছিল একই অধ্যাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞায়নে এই বিপরীতধর্মী বক্তব্য হাজির কেন করা হয়েছে সেটি জানতে চাওয়া। কিন্তু সবটা দোষ তাদের দেয়া বোধহয় ঠিক না। দোষ এখানে অধ্যাদেশ প্রনয়ণকারীদের। একই সাথে যে বিজ্ঞজনেরা ভারতের অর্ক ভাদুরীর নোট পাওয়ার সাথে সাথে সেটি ঝড়ের বেগে শেয়ার দেয়া শুরু করলেন তারাও কিন্তু পড়ে দেখলেন না আসলে অসংগতি কোথায় তৈরি হয়েছে।
সমাধানঃ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এবং অধ্যাদেশ প্রনয়ণকারীরা দয়া করে এই অসংগতি দূর করে এই দুই ধারার মধ্যে সংগতি নিয়ে আসুন এবং সেটা স্পষ্টভাবে জাতির কাছে তুলে ধরুন। অবশ্য এই কাজে অন্তর্বর্তী সরকারের এত উদ্যোগ না হলেও চলত বোধহয়। এসব কাজ আসলেই অন্তর্বর্তী সরকারের কি না সেই বোধটুকু থাকলে ভালো হত। (ফেইসবুক থেকে)