আজ বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি ভয়াবহ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি। আন্তর্জাতিক মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় এক সময়ের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, এখনকার বিতর্কিত ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনুস দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি বহু অভিযোগ থাকলেও, কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল ও মোড়ল শ্রেণি তাঁকে “নবী” বলে দাবি করছে, যারা আদতে মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী।
জাতির জন্য এটি নিছক লজ্জার বিষয় নয়, এটি এক ভয়ানক বিপদ সংকেত।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের কলকারখানা একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গার্মেন্টস সেক্টর, কৃষিভিত্তিক শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা টিকে থাকার লড়াইয়ে হিমশিম খাচ্ছে। হাজার হাজার শ্রমিক ইতোমধ্যে কাজ হারিয়েছে, নতুন বিনিয়োগ নেই বললেই চলে।
যেখানে আগে বেকারত্ব মোকাবিলায় শিল্পকারখানা চালু ছিল, আজ সেখানে তালা ঝুলছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে পরবর্তী তিন মাসে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি তিনের ঘরের নিচে নেমে আসবে যা এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ড. ইউনুসের তথাকথিত মাইক্রোক্রেডিট মডেল বহু বছর ধরে গরিবের ঘাড়ে সূদের বোঝা চাপিয়ে তাদের আরও গরিব করে তুলেছে। এখন তিনি একটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আসীন হয়ে সেই সূদনির্ভর পদ্ধতিকে জাতীয় অর্থনীতিতে প্রয়োগ করছেন। উন্নয়নের নামে ধ্বংস, নীতিনৈতিকতা ছাড়া বিশ্ব মোড়লদের পা চাটা এই দালাল দেশের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছিল আত্মমর্যাদা ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে। কিন্তু আজ সেই জাতিকে শোষণের চক্রে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের সহায়তায় দেশের মালিকানা কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হচ্ছে দিনদিন।
আমাদের শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, প্রযুক্তি সব খাতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষিত তরুণেরা দেশ ছাড়ছে, বিনিয়োগ বন্ধ, রাজস্ব আয় কমছে, এবং দুর্নীতিবাজ চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এখন সময় এসেছে জাতিকে জাগ্রত করার। নির্লজ্জ দালালদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। দেশের সম্পদ, শ্রমিক, কৃষক ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা ছাড়া বিকল্প নেই।
আজ না জাগলে কাল বাঁচার সুযোগ থাকবে না। এই দেশ বঙ্গবন্ধুর, এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের। সূদখোর জঙ্গি-পৃষ্ঠপোষক চক্রের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে না।