মাত্র তিন মাসের কন্যাশিশু মনিকা ইউনূসকে নিয়ে ১৯৭৭ সালে আমেরিকার নিউ জার্সিতে একবারেই চলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ইউনূসকে বিয়ে করে নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা ইউনূসের প্রথম স্ত্রী ভেরা ফরেস্তেনকো।ভেরা ছিলেন রাশিয়ান ধর্নাঢ্য পরিবারের সন্তান।ভেরার বাবার নাম অ্যালেক্স ফরেস্তেনকো।রাশিয়ান হলেও অ্যালেক্স ফরেস্তেনকোর একমাত্র কন্যা সন্তান ভেরা ফরেস্তেনকোর জন্ম ও বেড়ে উঠা সব আমেরিকায়।ভেরা আমেরিকার ইয়ুথ ফ্যামিলি সার্ভিসের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। এছাড়াও আমেরিকার ভ্লাদিমির অর্থোডক্স চার্চের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।১৯৬৭ সালে আমেরিকার ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে খ্রিস্টান ভেরা ফরেস্তেনকোর প্রেমে পড়েন ইউনূস। প্রেম না ফাঁদ? তা বুঝতে ভেরার খুব বেশি বছর সময় লাগেনি।ভেরা ফরেস্তেনকোদের পুরো বংশ দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসার সাথে জড়িত। রাশিয়ার বড় বড় শিল্পপতিদের সাথেও ভেরার পরিচয় ও সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে, ইহুদি জর্জ সোরস ও হিলারী ক্লিনটনের সহযোগিতায় ইউনূস ততদিনে ১৯৭৪ সালের দূর্ভিক্ষে আমেরিকার ফুড পলিটিক্স দূরভিসন্ধির দ্বিতীয় অংশ হয়ে ধীরে ধীরে তার গ্রামীণ ব্যাংক জোবরা প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।ভেরা ফরেস্তেনকো চলে যাওয়ার মাত্র তিন বছরের মাথায় ইউনূস আবার প্রেমে পড়েন আফরোজী ইউনূসের।এরপর ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত করে ফেললেন বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার আমেরিকান প্রজেক্ট “গ্রামীণ ব্যাংক” ।
২০০৪ সাল পর্যন্ত কন্যা মনিকা ইউনূস ও স্ত্রী ভেরা ফরেস্তেনকো এর কোন খোঁজখবর রাখেননি ইউনূস।১৯৭৭ সালে জন্ম নেওয়া মনিকা ইউনূস ২৭ বছর বয়সে ২০০৪ সালে পিতা ইউনূসের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ২০০৫ সালে হঠাৎ করে বাংলাদেশ আসেন।এতেই আবার কপাল খুলে যায় ইউনূসের। ঠিক তার একবছর পর ২০০৬ সালের অক্টোবরে ইউনূস নোবেল পুরস্কার পাওয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় জানুয়ারীর ১১ তারিখ বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান হয়।তার ঠিক এক মাসের মাথায় কোনদিন রাজনীতি না করেও আমেরিকার পুতুল হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে ‘ নাগরিক শক্তি ‘ নামক দল গঠন করেন ইউনূস । পরবর্তীতে সফল হতে না পেরে আবার আমেরিকায় চলে যান ইউনূস।
ড. ইউনূস গত ৬০ বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। বাংলাদেশের সাথে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছাড়া আর কোন সম্পর্ক কখনোই ছিলো না।১৯৯৩ সালে ‘আমার দল’ গঠনের মাধ্যমে তার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ তৈরি হয়।গত ৩২ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বুনে গেছেন।
এনজিও হচ্ছে বিশ্ব বাটপারদের একটা সংস্থা।১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই এনজিওগুলোকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসে। এনজিও এর মাধ্যমে গরীব দেশগুলোর পেটের ভেতরে সূঁই হয়ে ঢুকে কুড়াল হয়ে বের হয়ে আসা হচ্ছে এদের ধর্ম। এনজিও ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ হচ্ছে ১২ শতাংশ সুদে গরীবদের ঋণ দেওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও ৪ শতাংশ বেশি সুদ গ্রহণ করে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন! এসব ভাবলেই গা শিউরে উঠে। ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে অনুদান , ঋণ ও সহযোগিতা গ্রহণ করে থাকে। গরীব দুঃখী মানুষের নামে আসা হাজার হাজার কোটি টাকার অনুদান এইভাবেই এনজিও সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংক নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে নেয়। দেশের জনগণকে উচ্চ সুদে ঋণ দিয়ে সেই ঋণের লাভের অংশ আবার আমেরিকায় পাচার করে দেওয়া হয়। গরীবদের রক্ত চুষে বড়লোক হওয়ার অন্যতম বড় বাটপার হচ্ছে ইউনূস।এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে এনজিও ব্যবসা।
বিশ্ব ব্যাংকের সদর দপ্তর হচ্ছে আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে। এবং বিশ্বব্যাংকের সর্বোচ্চ শেয়ার হোল্ডার হচ্ছে আমেরিকা। আমেরিকার ইশারা ছাড়া এখান থেকে কেউ ঋণ পায় না। ইউনূস কোন রাষ্ট্রপ্রধান না হয়েও বিশ্ব ব্যাংক থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণ সুবিধা , অনুদান ও সাহায্য এসব কীভাবে নিলেন? এর পেছনে কাজ করেছে ইহুদি ধনকুব জর্জ সোরস ও হিলারীর বিনিয়োগ। নামে গ্রামীণ ব্যাংক হলেও এর মূল মালিক হচ্ছেন ইহুদি ধনকুব জর্জ সোরস ও হিলারী। জর্জ সোরসের ওএফএস ও হিলারীর ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ সংস্করণ হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক।ইউনূস এই গ্রামীণ ব্যাংকের আমেরিকার নামমাত্র বেতনভূক্ত কর্মচারী হয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে এই ব্যাংকের একজন মালিক হয়ে উঠলেন।বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের মোট সম্পদ হচ্ছে ৩০১.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই টাকা জনগণের টাকা বলে প্রচার করে জনগণকেই ভোদাই বানানো হচ্ছে।সরকারকে ভোদাই বানানো হয়েছে বছর বছর করফাঁকি দিয়ে।৩০১.০৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক গ্রামীণ ব্যাংক কেন সরকারের ১১০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে? কেন লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও নিজের ৬৬৬ কোটি টাকার কর নিজেই মাফ করে দিলেন ইউনূস? কেন গদি দখল করে নিজেই নিজের কোম্পানির আগামী পাঁচ বছরের কর মাফ করে দিলেন? মূলত ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের এই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে আমেরিকার গ্রামীণ সেন্টারে, এবং এটাই হচ্ছে সত্য।
ইউনূসের মেয়ে মনিকা ইউনূস একজন ড্রাগ এডিক্টেড অপেরা শিল্পি। ইউনূস একজন ধান্দাবাজ এনজিও সুদের ব্যাবসায়ী।ইউনূস বাংলাদেশে একটি সামাজিক ব্যাধির নাম। চীনের উহান থেকে সার্স, মার্স ও সর্বশেষ করোনা ভাইরাসের মত অর্থনীতি ধ্বংসের ভাইরাস হয়ে ১৯৭৪ সালে আমেরিকার পরিকল্পিত ফুড পলিটিক্স ভাইরাসের সাথে বাংলাদেশে ইউনূসের মাধ্যমে জন্ম নিয়েছিল “গ্রামীণ ব্যাংক ভাইরাস”।জোবরা প্রকল্প ছিলো সেই ভাইরাসের প্রাথমিক পরীক্ষা । বর্তমানে বাংলাদেশের ১১ কোটি মানুষ এই গ্রামীণ ব্যাংক ভাইরাসে আক্রান্ত ।এই ভাইরাসে আক্রান্ত শত শত মানুষ এই পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন। সময়মতো সুদের টাকা দিতে না পারায় কারো বাড়ির টিন খুলে নিয়ে গেছে, কারো শেষ সম্বল গবাদি পশুটা নিয়ে সেই পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক ভাইরাস। ঠিক তেমনি ভেরা ফরেস্তেনকোকে চুষে খেয়ে ফেলার পর তাকেও ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে ৩ মাসের কন্যা সন্তান সহ। অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী সারাহ গিলবার্টরা করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন আবিস্কার করতে পারলেও ইউনূস ভাইরাসের ভ্যাক্সিন এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি।তবে গত ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ সালের কালার রেভ্যুলশন না হলে বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনোই বুঝতে পারতো না যে , ইউনূস ভাইরাসের একমাত্র ভ্যাক্সিন হচ্ছে ” জয় বাংলা” ।
__ছবিতে থ্রী জিরো তত্ত্ব ইউনূস ও তার মেয়ে ড্রাগ এডিক্টেড মনিকা ইউনূস। ইউনূস , যার নাম শুনে আপনারা ভেবেছিলেন কোন মসজিদের ইমাম, আদতে সে চীনের উহানের করোনা ভাইরাসের আদলে আমেরিকার ওয়াশিংটন থেকে তৈরিকৃত বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসের “ইউনূস ভাইরাস” ছাড়া আর কিছুই নয়।
সত্য সবসময় সুন্দর। (লেখাটি ‘লুসিড ড্রিম’ নামক সাইট থেকে।মোনায়েম সরকারের ফেইসবুক পেইজ)